শংকর রায়, রায়গঞ্জ: ফের ছাত্রী ধর্ষণ রায়গঞ্জে। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে ধানক্ষেতের মধ্যে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, নারকীয় অত্যাচারের সময় স্থানীয় এক বাসিন্দার নজরে পড়তেই নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্ত। অভিযুক্তের নাম পূর্ণ বর্মন(২২)। নির্যাতিতার পাশের বাড়িতেই থাকে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বুধবার রায়গঞ্জ থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চয়াতের শিসগ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকে। হরিয়ানার একটি প্লাইউড কারখানার কর্মী। দুর্গাপুজোতে ছুটি নিয়ে পঞ্চমীর দিন সে বাড়িতে আসে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নির্যাতিতার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। পুজোর মধ্যে তারা কথাও বলে। তবে দিন চারেক ধরে ওই ছাত্রী পূর্ণর সঙ্গে দেখা করছিল না। অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় প্রায় জোর করে ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। তারপর ছাত্রীর মুখে কাপড় বেঁধে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের রাস্তায় রাতের অন্ধকারে কারওরই বিষয়টি নজরে পড়েনি। গ্রাম লাগোয়া ধানক্ষেতের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে যুবক। ভোররাতের দিকে স্থানীয় একজনের নজরে আসে বিষয়টি। গ্রেপ্তারির ভয়ে বেগতিক বুঝেই পালিয়ে যায় পূর্ণ। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিই তখন প্রতিবেশীদের ডেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন।নির্যাতিতার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির লোক তড়িঘড়ি তাকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করে। নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক।এদিন বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় যদিও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেনি ধৃত।
মাসদুয়েক আগেই বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এই রায়গঞ্জেই। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় নির্যাতিতা গলায় কোপও মারে অভিযুক্ত। ফের ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দিন দুয়েক আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর ঘটনায় নির্ভয়া স্মৃতি উসকে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার অবস্থা স্থিতিশীল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.