অর্ক দে, বর্ধমান: স্কুলের মধ্যেই দিনের পর দিন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি! সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র শোরগোল ছড়াল বর্ধমানের তেজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে। অভিযোগ, বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই শুক্রবার স্কুলেই চড়াও হয় অভিভাবকরা। পরে পুলিশ এসে মারমুখী জনতাদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকদের দাবি, উনি ভালোবেসে ছাত্রীর মাথায় হাত রেখেছিলেন!
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলেরই ষষ্ঠশ্রেণির এক ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করত শিক্ষক বিশ্বরূপ দাস। তাকে নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করত সে। এমনকি, বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মারধরের হুমকি দেওয়া হত বলেই অভিযোগ। গত ২ এপ্রিল হেনস্তা মারাত্মক আকার ধারণ করলে ছাত্রী পরিবারকে জানাতেই প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর অস্ত উলটে ছাত্রীকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল অফিসে গিয়ে মিটিয়ে নিতেও বলা হয়।
শুক্রবার অভিভাবকরা যৌথভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। স্কুলের তরফে প্রতিক্রিয়া না মেলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে উদ্যত হয় তারা। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্বরূপ দাস বলেন, “শিক্ষক অভিভবকের মতো, তাই ওকে শাসন করেছি। আবার ভালোবেসে মাথায় হাতও রেখেছি। এর বাইরে কিছু নয়।” তাকে গ্রেপ্তারও করে শনিবার আদালতে তোলা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.