Advertisement
Advertisement

Breaking News

Court

আইনজীবীদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আদালত, গণ্ডগোলে অসুস্থ বিচারক, ভর্তি হাসপাতালে

বিচারকের কাজে বাধা দেবার অভিযোগ উঠেছে আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে।

Strike of lawyers heated the situation at court premises

গণ্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বর।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 5, 2024 7:54 pm
  • Updated:April 5, 2024 7:57 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আইনজীবীদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বর। বিচারকের কাজে বাধা দেবার অভিযোগ উঠেছে আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গণ্ডগোলের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিচারক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।  

জানা গিয়েছে, কর্মবিরতি নিয়ে রেজোলিউশন করে বিচারককে জানানোর পরও চলছিল আদালতের কাজকর্ম। যা নিয়ে সরব হন আইনজীবীরা। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত হয়। আদালত চত্বরে আইনজীবীরা মিছিল করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেন। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বিচারপতি এডিজে ফাস্ট ট্র্যাক ২ সোমা চক্রবর্তী। তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন আদালতের কর্মীরা। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: নাবালিকার বিয়ে রুখলেন শিক্ষিকারা, শান্তিপুরে নজির কন্যাশ্রী ক্লাবের]

এদিনের হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিচারক বলেন, “অনেক আইনজীবী একসঙ্গে এসে বিশাল চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। তাঁরা অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। আমাকে বাধ্য করছিলেন ওনাদের কথামতো অর্ডার শিট তৈরি করার জন্য। ওনাদের দাবি ছিল কেন এই মামলাটা নেওয়া হল? রেজোলিউশনটা ওনাদের। আইনজীবী যদি আসেন, স্টেপ নেন, মামলা করতে চান আমাকে মামলা নিতে হবে। কারণ রেজোলিউশনটা আমার নয় ওনাদের। ওনারা নিজেদের লোককে আটকাতে পারেননি। তাঁদের চিৎকারে আমি অসুস্থ বোধ করি। তার পর আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

আদালতের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের একজন ল-ক্লার্ক, রতন হালদার মারা গিয়েছেন। দুই বার ও ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন মিলে রেজোলিউশন করে গতকাল সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে মৃত ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করা হবে। এনিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সংগঠনের সহ সম্পাদক সুপ্রিয় ব্যানার্জি বলেন “রেজোলিউশন করে জানানোর পরেও আমরা জানতে পারি ওই আদালতে মামলা চলছে। আমরা গিয়ে যিনি মামলা লড়ছেন তাঁকে আদালত ছেড়ে বাইরে আসতে বলি। তখন বিচারক বলেন আপনারা এখানে এসে বলছেন। আমি অসুস্থ অনুভব করলে হাসপাতালে যাব। আমাদের একজন সিনিয়র আইনজীবীকে উনি কালপ্রিটও বলেছেন। আমরা বিচারকের কাজে বাধা দিতে পারি না। আমরা কাল থেকে ওই আদালতে মামলা লড়ব না।” বনগাঁ আইনজীবী সংগঠনের সম্পাদক সমীর দাস জানান, ‘আমরা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং এসিজেএমকে গোটা ঘটনা জানাবো এবং আগামীকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করব।

[আরও পড়ুন: ‘অনেকের চাকরি খেয়েছেন, জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে’, অভিজিৎকে হুঁশিয়ারি মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement