সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামপন্থী সংগঠনগুলির ডাকে শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে শ্রমিক ধর্মঘট৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বনধের সমর্থনে রেল অবরোধ, মিছিল এবং আন্দোলন জারি থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটা কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় একটু অন্যরকম৷ শহরের সর্বত্রই জনজীবন একেবারে স্বাভাবিক৷
বনধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই কর্মনাশা বনধকে সমর্থন করা হবে না৷ পাশাপাশি রাজ্যের মানুষ যাতে বনধকে উপেক্ষা করে কাজে যোগ দেন, সেই আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ডাকে সাড়া দিয়ে আর পাঁচটা দিনের মতো পথে বেরলেন সাধারণ মানুষ৷ বনধকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিলেন তাঁরা৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে এদিন উপস্থিতির হার প্রায় ৯০ শতাংশ৷ এদিন সাধারণ কর্মচারীদের পাশাপাশি, কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরাও অফিসে উপস্থিত হয়েছেন৷ যাঁরা বনধের সমর্থনে মানুষকে আহ্বান করেছিলেন, তাঁরা নিজেরাই বনধের দিন অফিসে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার কলকাতার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও, সেই অভাব মেটাতে সরকারি বাসের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে৷ পাশাপাশি মেট্রো এবং রেল পরিষেবাও রয়েছে স্বাভাবিক৷ এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামাও ছিল স্বাভাবিক৷
তবে বনধের দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে বনধকে কেন্দ্র করে৷ কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বনধের সমর্থনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখানো হলে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে৷ যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের সামনে বনধ সমর্থকরা মিছিল করে আসার সময় মাইক লাগানোকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে৷ লেকমার্কেট, বেহালা এবং নুঙ্গিতে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে বলেও জানা গিয়েছে৷
রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ বনধ সত্ত্বেও এদিন রাজ্যজুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে সিঙ্গুর উৎসব৷ সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাসের মধ্য দিয়ে এই দিনটিকে উৎযাপন করা হচ্ছে রাজ্যের প্রতি ব্লকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.