সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক্তিয়ার বিতর্কে এবার কড়া প্রত্যাঘাত রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যপাল সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সে আঁচ গিয়ে পড়েছে সংসদেও। এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক।
[ চ্যাংড়াবান্ধা হাইস্কুলে প্রকাশ্যে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, অবশেষে ধৃত বহিরাগত দুষ্কৃতী ]
দিনকয়েক আগে বিশেষ বৈঠক ডেকে মালদহ জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদের আইজিকেও। কিন্তু তা নিয়েই ঘোর অসন্তুষ্ট রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের দাবি, রাজ্যপাল নিজে এভাবে বৈঠক ডাকতে পারেন না। এ আসলে প্রশাসনের কাজেই হস্তক্ষেপ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু সংসদে সরব হয়েছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়ান। এই ইস্যুতে বিরোধীদের একজোট করেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ সংসদীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলেই দাবি ছিল তাঁদের। যদিও ডেরেকের আবেদন খারিজ করেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। কিন্তু রাজ্যপালের কাজে তৃণমূল নেতৃত্ব যে বিরক্ত তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এদিকে এ নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যপালের এ ধরনের কাজ অসাংবিধানিক। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
[ ভিনরাজ্যের যুবকের রহস্যমৃত্যু দু্র্গাপুরে, ‘ফেসবুক ফ্রেন্ড’-এর ফ্ল্যাটে মিলল দেহ ]
এই প্রেক্ষিতেই এবার কড়া প্রতিক্রিয়া কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। নাম না করেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, অনেক কড়া কথা বলা হয়ে গিয়েছে। যাঁরা বলছেন আগে তাঁরা আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন, নিজেদের মনের ময়লা পরিষ্কার করুন। রাজ্যপালের এই মন্তব্য যে বিতর্কে ঘৃতাহুতি করল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগেও বাদুড়িয়া কাণ্ডের সময় রাজ্যপালের মন্তব্য ও ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজ্য। সেবার সরাসরি মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তখন থেকেই চলছে। মাঝে তা থিতিয়ে পড়েছিল। তবে বৈঠক ডেকে চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের তা মাথাচাড়া দিয়েছে। মন্তব্য ও পালটা মন্তব্যে তা যে নতুন মোড় নিল এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[ শিক্ষিকার চড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, বেঘোরে প্রাণ গেল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.