দেবব্রত মণ্ডল , দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে গভীর সমুদ্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া একটি ট্রলারের সন্ধান পেল উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ বুধবার এফবি মল্লেশ্বর নামে একটি ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেলেও এখনও নিখোঁজ দু’টি ট্রলার৷ এদিন দুপুর পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ১৯ মৎস্যজীবীর৷ সমুদ্র উত্তাল থাকলেও এদিনও অব্যাহত ছিল উদ্ধার কাজ৷ উপকূলরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
সোমবার আচমকা পাহাড়প্রমাণ ঢেউয়ের আঘাতে তলিয়ে যায় মাছ ধরার তিনটি ট্রলার৷ বঙ্গোপসাগরের ওই বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ হয়ে পড়েন ১৯ জন মৎস্যজীবী৷ আজ, উদ্ধারকাজ শুরু হতেই একটি ট্রলারের সন্ধান পান উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা৷ বাকিদের হদিশ পেতে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জোর তল্লাশিতে নেমেছে।
মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, “কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে। নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন। তাঁদের উদ্ধার করতে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ রাজ্য সরকার সবরকম ভাবে পাশে রয়েছে। সহযোগিতাও করা হবে।” নবান্ন সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে কারও মৃত্যু হলে রাজ্যের তরফে দুর্গত পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে৷
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাকদ্বীপ, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে প্রায় দু’শো ট্রলার বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম দিক দিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যাচ্ছিল। বিধ্বংসী ঝড়ে সুন্দরবনের কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবে যায় তিনটে ট্রলার৷ এফবি জয়কৃষাণ, এফবি শিবানী এবং এফবি মল্লেশ্বর। কাকদ্বীপের এফবি জয়কৃষাণে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন, যাঁদের ছ’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দশ জনের খোঁজ নেই৷ এফবি শিবানীতে ছিলেন ১৭ জন, প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ফ্রেজারগঞ্জের এফবি মল্লেশ্বরের সওয়ার ১১ মৎস্যজীবীর মধ্যে ছ’জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে, পাঁচজন এখনও নিখোঁজ৷ ঝড়ের ধাক্কায় অন্য বিভিন্ন ট্রলার থেকে জলে পড়ে যাওয়া বেশ ক’জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও চারজনকে পাওয়া যায়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.