Advertisement
Advertisement
অস্ত্র কেনাবেচা

অনলাইন শপিং সাইটের আড়ালে অস্ত্র কেনাবেচা! ওয়েবসাইট থেকে ১০০ জনের হদিশ পেল STF

বন্দুক পাচার কাণ্ডে ধৃত মাও লিংক ম্যানের ওয়েবসাইট ক্র্যাক করে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়।

STF gets minimum 100 people involvement in illegal arms business

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 30, 2020 10:08 pm
  • Updated:July 30, 2020 10:08 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বন্দুক পাচার কাণ্ডে ধৃত মাও লিংক ম্যানের ওয়েবসাইট ক্র্যাক করে প্রায় ১০০ জনের নামের হদিশ পেল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা STF। এই ১০০ জনই ওই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে বন্দুক কেনাবেচা করেন বলে তাদের দাবি। এই দীর্ঘ তালিকার নাম, ঠিকানা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মাও উপ্রদ্রুত ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন জেলা-সহ সমগ্র দেশেই। সেই তালিকা থেকে ‘বাহুবলী’ কারা তার খোঁজ করছে এসটিএফ।

পুরুলিয়ার অস্ত্র পাচার কাণ্ডে পরপর ধৃত ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে চিরঞ্জীবি ওঝা ও বিহারের ঔরঙ্গবাদ থেকে মাও লিংকম্যান রবিকান্ত কুমারকে মুখোমুখি জেরা করে তাদের কাছ থেকে ওই ওয়েবসাইটের নাম জেনে তা ক্র্যাক করে এই তথ্য হাতে পায় এসটিএফ। ওই তালিকায় ‘বাহুবলী’রা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষজনও রয়েছেন। যারা ঝাড়খণ্ডের মতো মাও উপদ্রুত এলাকায় শুধু্‌ আত্মরক্ষার্থে সম্পত্তি বিক্রি করে এই বন্দুক ক্রয় করেন। তেমনই একজন ঝাড়খণ্ডের সারান্ডা জঙ্গল লাগোয়া গুমলা জেলার পালকোট থানার আম্বেরাডি গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ সিংহ। তার কাছে ধৃত রবিকান্ত কুমারকে নিয়ে গিয়ে একটি বেআইনি দো-নলা বন্দুক ও তার নামে ভুয়ো লাইসেন্স উদ্ধার করে রাজ্যের এই বাহিনী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ২৫০০]

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিনোদ সিংহ মাওবাদী এলাকায় নিজের জীবন বাঁচাতে প্রাণীপালন করা গরু, হাঁস বিক্রি করে ধৃত রবিকান্তের কাছ থেকে এই বন্দুক কেনেন। লাইসেন্সও করিয়ে দিয়েছিল এই রবিকান্ত। বৃহস্পতিবার এই দুই ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। এসটিএফ জানিয়েছে, এই আন্তঃরাজ্য বন্দুক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে অনেকদূর। সেই চক্রের জাল গুটিয়ে ‘বাহুবলী’ কারা তাদের খোঁজ চলছে। এই চক্রটি বন্দুকের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট খুলে বসেছিল। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই নাম পাওয়া ১০০ জন বন্দুক কেনাবেচা করেন বলে এসটিএফের দাবি। এই ওয়েবসাইট থেকে দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও ডেপুটি কালেক্টরটের ভুয়ো স্ট্যাম্প বানিয়ে এই বেআইনি কারবার চলত। পুরুলিয়ার কেন্দায় ছ’মাস আগের আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনায় লালগড় থানা থেকে খোওয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র পুরুলিয়ার একসময়ের বন্দুক ব্যবসায়ী চন্ডী কর্মকারের ধৃতদের কাছ থেকে মাওবাদীদের কাছে পাচার হয় বলে অভিযোগ। চলতি বছরের গত ১২ জানুয়ারি পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তায় কেন্দা থানা এলাকায় একটি অ্যাম্বাসাডারের সিটের তলা থেকে ওই পাচার হওয়া বন্দুক উদ্ধার করে এসটিএফ। সেই সঙ্গে ওই গাড়ির চালক-সহ বন্দুক কারবারী পুরুলিয়ার স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা চন্ডী কর্মকারকে গ্রেপ্তার করে রাজ্যের ওই বাহিনী।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড় আর কোনটায় না? আনলক থ্রি’র গাইডলাইন প্রকাশ করল নবান্ন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement