সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা বিরসা মুন্ডার পূর্ণাবায়ব মূর্তি গায়েব! শোরগোল কাঁকসায়। জায়গা পাকা করতেই নাকি আপাতত মূর্তির স্থান পঞ্চায়েতের গুদাম ঘরে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, সমস্য়া রয়েছে তাই মূর্তিটি সরানো হয়েছে। স্থায়ী কাঠামো ও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। সেই কাজ সম্পন্ন হলেই ফের যথাস্থানে ফিরে যাবে মূর্তি।
গত ১৫ নভেম্বর কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের কুলডিহায় বিরসা মুন্ডার ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলডিহায় এই মূর্তির ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন। মাত্র তিনদিনের নোটিসে বিরসা মুন্ডার পূর্ণাবায়ব মূর্তি আনা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থেকে। ফাইবার জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি এই মূর্তি তড়িঘড়ি বসানোর জন্যেই ওই মূর্তির ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় আদিবাসী সমাজও। তড়িঘড়ি মূর্তিটি স্থায়ীভাবে তৈরি করাও সম্ভব হয়নি। তাই উদ্বোধনের পর এই মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়।
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত বিভাগ থেকে এই অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ‘হালকা’ মূর্তি ও’ দুর্বল’ কাঠামোর উপর বিরসা মুন্ডার মূর্তি সুরক্ষিত নয় বলেই সরিয়ে দেওয়া হয় মলানদিঘি পঞ্চায়েতের গুদাম ঘরে। এই ব্যাপারে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় জানান, “তিনদিনের নোটিসে আনা হয়েছিল ফাইবার জাতীয় উপকরণের বিরসা মুন্ডার ওই মূর্তি। কিন্তু ওখানে ওই মূর্তি স্থায়ীভাবে রাখলে তা ঝড়বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ওখানে স্থায়ী পরিকাঠামো গড়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “আদিবাসী সমাজই ওই মূর্তি পঞ্চায়েতে রাখার আবেদন করেছিল। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার কাছে আমরা আবেদনও করেছি। এক মাসের মধ্যে ফের ওখানে বসানো যাবে বলেই আশা করছি।”
মলানদিঘি পঞ্চায়েতের প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় জানান,” ওখানে কোনও সমস্যা ছিল বলেই পঞ্চায়েতে রাখা হয়েছে।” এই ব্যাপারে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওখানে আলো দিয়ে সাজিয়ে স্থায়ী পরিকাঠামো গড়া হবে। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই মূর্তি ওখানে বসবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.