ধীমান রায়, কাটোয়া: যখন স্কুলে পড়তেন, তখন সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পেয়েছিলেন। সরকারি প্রকল্পে পাওয়া সেই সাইকেলই সর্বক্ষণের সঙ্গী জলপাইগুড়ির এক যুবকের। সাইকেলে চেপে রাজ্য ভ্রমণে বেরিয়েছেন ওই কলেজ পড়ুয়া। আর ঘোরার ফাঁকেই চলছে পড়াশোনাও। উত্তরবঙ্গের পর এখন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন ওই যুবক।
[ শনি না রবি, বাগদেবীর আরাধনার আগে পঞ্চমী তিথি নিয়ে আতান্তরে আমজনতা]
উত্তরবঙ্গের ছেলে। জলপাইগুড়ির নাথুয়াপাড়া গ্রাম আদিবাড়ি। খুব অল্প বয়সেই বাবা-মা মারা যান। জলপাইগুড়ি শহরে জ্যাঠার কাছে বড় হয়েছেন তীর্থ রায়। কলকাতার একটি কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। তীর্থ রায় জানিয়েছেন, জলপাইগুড়িতে স্কুলে পড়ার সময়েই সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পেয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে দু’চাকা যানটিই তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী। যখন মন খারাপ করত বা একা লাগত, তখনই সাইকেল নিয়ে ঘুরতেন। বছর তিনেক আগে সাইকেলে চেপে রাজ্য ভ্রমণে বেরোন তীর্থ। উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্র চষে ফেলেছেন। এখন দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন ওই কলেজ পড়ুয়া। কয়েক দিন আগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এসেছিলেন। ভাতার থেকে বীরভূমে গিয়েছেন তীর্থ।
সাইকেলে চেপে সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাহলে পড়াশোনা করেন কখন? কলকাতার একটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র তীর্থ রায় জানালেন, ব্যাগে বইপত্র নিয়েই ঘুরে বেড়ান তিনি। ঘোরার ফাঁকে পড়াশোনাও করেন। এমনকী, পরীক্ষার সময়ে সাইকেলটি স্থানীয় থানায় জমা দিয়ে কলকাতা ফিরে যান তীর্থ। পরীক্ষা শেষে ফের থানা থেকে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। ওই কলেজ পড়ুয়ায় কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল পেয়ে আমি অনুপ্রাণিত। এই সাইকেলে চেপে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ও তাঁদের জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হতে চাই।’
[ লোকালয়ে বাঘ ঢুকলেই এবার সতর্ক করবে সাইরেন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.