ফাইল ফটো
গৌতম ব্রহ্ম: করোনা মোকাবিলায় এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা। জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সংগ্রহ করবে তথ্য। বাড়ির কোনও সদস্য বিদেশ থেকে ফিরেছেন কী না, তারও সলুকসন্ধান করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী।
এপ্রসঙ্গে অজয়বাবু বলেন, “করোনা মোকাবিলায় রাজ্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অরপারেটিং প্রোটোকল(SOP)’ তৈরি করেছে। আমরা সাধারণ মানুষকে চার ভাগে ভাগ করে দেখতে চাইছি। দেশের মধ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, আশাকর্মী ও যাঁরা গ্রামের প্রত্যন্ত জায়গায় কাজ করেন তাঁদের প্রশিক্ষিত করার কাজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।”
কী রয়েছে এই নির্দেশিকায়? যাদের নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বিদেশে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে এবং জ্বর-সর্দি-কাশির লক্ষণ রয়েছে, তাদের এ ক্যাটাগরিতে ফেলা হবে। এদের একেবারে আইসোলেশন রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। যাদের বিদেশযাত্রা রেকর্ড নেই, কিন্তু জ্বর-সর্দি-কাশি অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদের ‘বি’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হবে। এদের ‘মডারেট রিস্ক’ বলে ধরা হচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি বয়স যদি হয়। আর তার যদি হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস কিংবা শ্বাসকষ্ট থাকে তাদেরও এই গ্রুপে রাখা হচ্ছে। এদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিবারকেও আইসোলেশন রাখা হবে। ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ক্যাটেগরি ‘সি’ হচ্ছে যাদের বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু, জ্বর বা অন্য কোনও লক্ষণ নেই, এমন ব্যক্তিদের ১৪ দিন বাড়িতে নজরবন্দি থাকতে হবে। আর যাদের বিদেশযাত্রার রেকর্ড নেই, জ্বর-সর্দি-কাশিরও লক্ষণ নেই, তাদের ‘ডি’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হবে।
এই চারটি ভাগে ভাগ করে সাধারণ মানুষের উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই নির্দেশ শনিবার রাতের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অর্থাৎ সিএমএইচ CMHO, প্রত্যেকটি হাসপাতালের সুপার এবং প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং সুপারদের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.