সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ দফায় ভোটে রাজ্যে পুলিশেই আস্থা রাখল নির্বাচন কমিশন। এ রাজ্যে কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। ভোটের দিন কিউআরটি বা কুইক রেসপন্স টিম পরিচালনা করবেন পুলিশকর্মীরাই।
এ রাজ্যে সাত দফায় লোকসভা ভোটের মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। কিন্তু, এখনও যে ছয় দফায় ভোট হয়েছে, প্রতিটি দফাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের একটি বুথে নিরাপত্তারক্ষী-সহ ঢুকে পড়েছিলেন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। হাওড়ার বুথের বাইরে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর করেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিইও আরিজ আফতাবকে কড়া চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। চিঠিতে নির্দিষ্টভাবে বেশ কয়েকটি জায়গার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। যেখানে গন্ডগোল হচ্ছে, সেখানে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছে না। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এলাকার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। চিঠিতে বলা হয়েছিল, কুইক রেসপন্স টিমে যদি স্থানীয় পুলিশকর্মীদের রাখা না হয়, তাহলে সমস্যা মিটবে না।
এদিকে ঘটনাচক্রে যে দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠায় রাজ্য সরকার, সেদিন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড শো-কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ স্ট্রিট চত্বর। সেই ঘটনার জেরে শেষপর্যন্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.