পলাশ পাত্র, তেহট্ট: উন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার করিমপুর বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করতে এসে নাম না করে বিজেপিকে একহাত নিতে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বারাণসীর ঘাটগুলি কিন্তু এখনও পরিষ্কার হয়নি। ঢাক পেটাতে হয় না। কিন্তু আপনি বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে তাকালে দেখবেন দু’পাড়টা কী সুন্দর সাজিয়ে দিয়েছে আমাদের সরকার। জাতি, ধর্ম সবাইকে নিয়ে কাজ করছে এই সরকার।’
প্রসঙ্গত করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচন আসন্ন। তার আগে উন্নয়ন, স্বচ্ছ ভারত নিয়ে বিজেপির প্রচার ও কাজকে কার্যত বিঁধে গেলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দুবাবু বলেন, গোটা বাংলা জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এর স্বপক্ষে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলায় আমরা পুরস্কার পেয়েছি। সড়ক যোজনা-সহ সমস্ত কিছুতেই এক নম্বর। এমনকি কদিন আগে কলকাতার মেয়র বিদেশে সম্মেলনে গিয়েছিলেন। সেখানেও পরিবহণ দপ্তর পুরস্কার পেয়েছে।’ তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের জেলাতেও প্রচুর কাজ হয়েছে। ট্রাক ট্রার্মিনাল, বিভিন্ন ঘাটগুলোর মাধ্যমে যাতায়াত-সহ সড়ক ব্যবস্থা করেছি। মায়াপুরে ইস্কন নগরীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেট অনুমোদন পর্যন্ত দিয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে করিমপুরে ‘প্রতিক্ষা’ নামে বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করেন শুভেন্দুবাবু। এদিন তিনি বাসস্ট্যান্ডের বিউটিফিকেশনের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন। এর রেশ ধরে তিনি আরও বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডের জন্য এক কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ টাকা দিয়েছি। দেখে মনে হয়েছে আরও কিছু করতে হবে। বিউটিফিকেশনের জন্য আরও এক কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করছি। যাতে ওয়াচ টাওয়ার, প্ল্যানটেশন করা যায়। আরও একটু বেশি আলো যাতে হয়। বিশ্ববাংলা লোগো করে ফাউন্টেন যদি বাড়ানো যায় আর একটু।’ মন্ত্রী করিমপুর এক ও দুই ব্লককে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কিমের হওয়া কাজে যুক্ত করার কথা এদিন জানান। যার সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এলাকায় থাকা ছোট ভাঙা কাঠের ব্রিজগুলো সংস্কার, নদী ভাঙন নিয়ে সমস্যা থাকলে করে দেওয়া হবে বলে স্থানীয় নেতৃত্বকে লিখে পাঠাতে বলেন। এছাড়া এসি নন স্টপ বাস দেওয়ার কথাও তিনি বলেন। এদিন বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধনের আগে নবনির্মিত সদ্ভাব মণ্ডপ ও লালন মঞ্চের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে এলাকায় প্রায় দশ হাজার স্কোয়্যার ফুটের অত্যাধুনিক এ ধরনের মঞ্চ করতে খরচ হয়েছে এক কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ টাকা। এর ফলে সীমান্ত সাংস্কৃতিক চর্চা আরও সমৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘নতুন করিমপুরের যে জার্নিটা প্রমিস করা হয়েছিল সেই জায়গাটা ধীরে ধীরে পৌঁছাতে পেরেছি।’ এদিন উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আবু তাহের, মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর, জেলাশাসক বিভূ গোয়েল, বিডিও অনুপম চক্রবর্তী, বিধায়ক কল্লোল খাঁ, তাপস সাহা, হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.