ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সতর্কতায় জমায়েত এড়াতে কোনও নির্দেশিকার অপেক্ষা করেনি বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর-সহ রাজ্যের খ্যাতনামা মন্দিরগুলি। একই পদক্ষেপ নিয়েছিল ব্যাণ্ডেল চার্চ, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জামা মসজিদ-সহ দেশের বড় মসজিদগুলি। তবে এখনও রাজ্যের কোথাও খোলা রাখা হয়েছে কিছু মসজিদ। সেই সমস্ত মসজিদগুলি বন্ধ করতে এবার নির্দেশিকা জারি করে চিঠি পাঠাল ইমামদের সংগঠন বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধান লক্ষ্যই হল জমায়েত এড়ানো। তাই আজ সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ২৭ মার্চের পরিবর্তে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ‘লকডাউন’-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমায়েত এড়াতে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বারবার সতর্ক করেছেন দেশ তথা রাজ্যবাসীকে। ঘরে থেকেই নিজেদের কাজ করার ও নিজ ধর্ম মেনে প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন সকলের কাছে। কিন্তু, কিছু মানুষ নিয়মক বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চারিদিকে। কেউ আবার চলেও যাচ্ছেন মসজিদে সেখানে গিয়ে জমায়েত করছেন তারা। তাই মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের সমস্ত মসজিদের দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ করতে বলে বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “নমাজ চালু থাকবে। ইমাম সাহেব চার-পাঁচজনকে নিয়ে জামাত চালু রাখবেন।” আপাতত সাধারণ মুসলিমরা যাতে বাড়িতেই নামাজ পড়েন তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্যই যে এই সিদ্ধান্ত তাও উল্লেখ করা হয়েছে বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, “সামনেই রমজান মাস। রমজানের নমাজের জন্য সুস্থ থাকাটা জরুরি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
এই প্রথম নয়, নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে আগেও বিভিন্ন ইসলামিক ও খ্রিস্টানদের ধর্মস্থানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালা পড়েছে ভ্যাটিকান সিটিতে। করোনা মোকাবিলা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল ধর্মগুরুদের ভিড় না করার আবেদন করেছেন। সেই নির্দেশ মেনেই কড়া পদক্ষেপ নেয় ইমামদের সংগঠন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.