Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

আমফানের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য, আড়াই লক্ষ টাকার চেক দিল রাজ্য প্রশাসন

১০টি পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন বারাসতের জেলাশাসক।

State Govt gave 2.5 lakh check whose family who lost members in amphan
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 27, 2020 8:55 pm
  • Updated:May 27, 2020 8:55 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: ঘূর্ণিঝড় আমফানে (Amphan) বিধ্বস্ত বাংলা। ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। ঝড়ের জেরে মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বুধবার বিকেলে বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বনগাঁ, বারাসাত ও ব্যারাকপুরের মৃত ১০টি পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে বুধবার আমফানের দামাল হাওয়া ধ্বংসলীলা চালায় পশ্চিমবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তাণ্ডব চলে হয়ে যায় মহানগর-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় একের পর এক গাছগাছালি। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। যার জের কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে এক সপ্তাহ। এখনও এই ঝড়ের প্রভাবে আশ্রয়হীন বেশকিছু মানুষ? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছিল, উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। তার মধ্যে বসিরহাট মহকুমায় মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বনগাঁ মহকুমায় মৃত্যু হয় চার জনের। বারাসত ও ব্যারাকপুর মহকুমায় তিনজন করে মোট মোট ছ’জনের। কারো মৃত্যু হয়েছে গাছের ডাল ভেঙে কেউ বা প্রাণ হারিয়েছেন বাড়ি চাপা পড়ে। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিলেন যে, ঝড়ে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে মৃত ১২ জনের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। বিকেলে বারাসতে জেলা শাসকের অফিস থেকে বাকি দশটি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল বলেন, “ঝড়ের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা সেই চেক তুলে দিতে পেরেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:অগ্নিমূল্য বাজার, জামাই ষষ্ঠীর ন্যূনতম আয়োজনেই হাতে ছ্যাঁকা শ্বশুরবাড়ির]

তবে আমফানের জেরে এখনও আশ্রয়হীন বহু মানুষ। বিদ্যুৎ পৌছয়নি শহরের অল্প কিছু স্থানে। আমফানের তাণ্ডবে জেরবার মানুষগুলোর হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে খুশি প্রশাসন। তবে সাগর ও সুন্দরবনের মানুষের দূর্দশা কবে মিটবে তা এখনও অজানা।

[আরও পড়ুন:নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন! কলকাতা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ বাংলাদেশ ফেরত যাত্রীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement