ধীমান রায়: কাটোয়ার সিঙ্গি গ্রামে কবি কাশীরাম দাসের জন্মভিটা অধিগ্রহণ করবে পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ৷ শুক্রবার এমনই আশ্বাস দিয়ে গেলেন রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কিউরেটর সুমিতা গুহ সরকার৷ এদিন তিনি সিঙ্গি গ্রামে কাশীরাম দাসের জন্মভিটে পরিদর্শন করতে আসেন৷ এলাকাও ঘুরে দেখেন সুমিতাদেবী বলেন, “যদিও কবি কাশীরাম দাসের জন্মভিটেতে প্রাচীনকালের নির্মাণের অস্তিত্ব নেই৷ তবে এখনও কিছু নিদর্শন রয়েছে৷ এলাকাতেও কিছু পুরনো বাড়ি, মন্দির ইত্যাদি রয়েছে৷ এই সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সামনে রেখে বৃহৎ স্বার্থে শিক্ষার কাজে লাগানো যায়৷ কবির স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা করে কিছু নিদর্শন সংরক্ষণ করে রাখলে পর্যটকদের কাছেও আগ্রহ বাড়বে৷ তাই জায়গাটি অধিগ্রহণ করার সুপারিশ জানাব সরকারের কাছে৷”
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সিঙ্গি গ্রামে কাশীরাম দাসের জন্মভিটায় একটি মূর্তি বসানোর কাজ শুরু করার সময় মাটির তলায় কিছু প্রাচীন নির্মাণের সন্ধান মেলে৷ পাওয়া যায় কিছু মাটির তৈরি বাসনপত্র ও মূর্তিও৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে কাটোয়া-২ বিডিও শিবাশিস সরকার এলাকা পরিদর্শনে যান৷ বিডিও পুরতাত্ত্বিক বিভাগে চিঠি দেন ওই নিদর্শনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য৷
প্রশাসন সূত্রে খবর, বিডিওর চিঠি পাওয়ার পর পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কিউরেটর সুমিতা গুহ রায় ওই এলাকায় যান৷ তার সঙ্গে ছিলেন বিডিও৷ সুমিতাদেবী অবশ্য বলেন, “কাশীরাম দাসের জন্মভিটায় যে নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তা অবশ্য খুব প্রাচীন নয়৷ ৭০ থেকে ১২০ বছরের প্রাচীন ওইসব নিদর্শন৷ এসবের পুরাতাত্ত্বিক মূল্য খুব বেশি নেই৷ তবে অবশ্যই কাশীরাম দাস সম্পর্কে অনেক কিছুই জানার আছে৷ কবির লেখা পুঁথি বা অন্যান্য সামগ্রী গবেষণার বিষয়৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.