রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলবিরোধী কাজে এবার কড়া পদক্ষেপ বিজেপির (BJP)। বহিষ্কৃত মালদহ প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র এবং মণ্ডল সভাপতি নিতাই মণ্ডল। এছাড়াও হুগলি জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুবীর নাগকে সতর্ক করা হল। এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) বাংলা দখলই ছিল বিজেপির মূল লক্ষ্য। তাই ভোটপ্রচারে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ জোর। বারবার রাজ্য সফরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডার (J.P.Nadda) মতো শীর্ষ নেতৃত্ব। তিন অঙ্কের আসন বিজেপি নিজেদের দখলে রাখবে বলেও দাবি করেন তাঁরা। তবে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় বিজেপিকে পর্যদুস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর থেকেই বিজেপির অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। দলীয় নেতৃত্বের ‘ভুল’ সিদ্ধান্তে এমন ভরাডুবি বলেও দাবি কারও কারও। বিরোধী শিবিরের কোন্দল যে শাসক শিবিরকে বেশ খানিকটা অক্সিজেন জোগাচ্ছে, সে বিষয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এই পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে বিজেপি। সাংসদ সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে রয়েছেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এবং রথীন বসু।
ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সঞ্জিত মিশ্র, নিতাই মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলবিরোধী কাজ করছিলেন মালদহ প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র। ভোটে ভরাডুবির পর তা বেড়ে যায় বেশ খানিকটা। সঞ্জিতের বিরুদ্ধে উঠেছে দলবিরোধী প্রচার করার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ। তার ফলে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও হুগলি (Hooghly) জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুবীর নাগকে সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে সাংগঠনিক বৈঠকে চুঁচুড়ায় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁদের ঘিরে দলীয় কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় সুবীর নাগ ইন্ধন জুগিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ। সে কারণেই সতর্ক করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.