Advertisement
Advertisement

Breaking News

জট কাটল ফ্রেট করিডোরের

অবশেষে কাটল লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ফ্রেট করিডরের জট, চড়া দামে জমি কিনবে সরকার

হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় চিহ্নিত জমি।

State administration has marked lands for rail frieght corridor in WB.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 20, 2020 7:08 pm
  • Updated:January 20, 2020 9:19 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: ফ্রেট করিডোরের জমিজট কাটল। রাজ্যে রেলপথ তৈরিতে অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার ওই সমস্ত জমি বাজার মূল্যের দেড়গুণ দামে কেনা হবে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন।

লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরি হবে। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ১৮৩৯ কিমি দীর্ঘ এই ফ্রেট করিডর যাওয়ার কথা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ২০৩ কিমি রেলপথ যাওয়ার কথা। এরজন্য হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে জমি অধিগ্রহণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। নবান্ন সূত্রের খবর, শেষপর্যন্ত  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জমি চিহ্নিত করেছে। চড়া দামে সেই জমি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেলকে সেই জমি হস্তান্তর করা হবে। নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়েছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই  রাজ্য সরকার ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ইডিএফসির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৬০  শতাংশ জমি হস্তান্তরিতও করেছে। গত অগস্ট মাসেই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই প্রকল্প দ্রুত রূপায়নের দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : গতি বাড়তেই বিপত্তি, সন্তান কোলে চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়লেন বধূ]

প্রসঙ্গত, রেলপথে মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ হবে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতের লুধিয়ানা থেকে মুঘলসরাই পর্যন্ত প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর হবে। আবার মুঘলসরই থেকে বিহারের শোননগর হয়ে ডানকুনি পর্যন্ত এই করিডর তৈরি হওয়ার কথা। তবে শোননগর এবং ডানকুনি রুটের ফ্রেট করিডোরের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার সেই জট কেটে গিয়েছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই করিডর পণ্য–‌চলাচলে দেশের ‘‌লাইফলাইন’‌ হিসেবে গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে, এই করিডর দিয়ে কেবল পণ্য পরিবহণই করা হবে। ফলে, পণ্য পরিবহণ আগের থেকে তাড়াতাড়ি হবে, যাত্রীবাহী রেল–‌চলাচলও দ্রুততর হবে। স্বস্তি পাবেন রেলযাত্রীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement