বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোনালিসা দাসের। তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার অভিযোগ উঠছে। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, ১০ টি ফ্ল্যাটের মালকিন মোনালিসা। অধ্যাপনার চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তি তৈরি করা সম্ভব, তা নিয়েও জোর চর্চা নানা মহলে। তবে মোনালিসা দাস সম্পর্কে এসব কথা শুনে যথেষ্টই বিস্মিত রানাঘাটে (Ranaghat) বসবাসকারী তাঁর পরিবার।
মোনালিসা দেবীর আসল বাড়ি নদিয়ার রানাঘাট থানার নতুন গোপালপুরে। শনিবার এসব খবর শুনে তাঁর দাদা মানস দাস জানিয়েছেন, ”আমার বোনের নামে মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে আমার বোনের নাম শুনতে পাচ্ছি। আমার বোন আসানসোলের কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির বাংলা বিষয়ের অধ্যাপক। সেখানকার বিভিন্ন প্রোগ্রামে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী আমন্ত্রিত হিসেবে যেতেন। আমার বোনকে আতিথেয়তার দায়িত্ব দেওয়া হত ইউনিভার্সিটি থেকে।”
মানসবাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের সূত্রে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বোনের আলাপ-পরিচয় হয়। হালিশহরে বিয়ে হয়েছিল মোনালিসার। কিন্তু বিচ্ছেদের পর কাজের সুবিধায় আসানসোলে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। কলকাতায় মানস ও মোনালিসার মায়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে সেখানে থাকেন মোনালিসা। আবার কখনও রানাঘাটের বাড়িতেও যান। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনদিনও তাঁদের বাড়িতে যাননি বলে জানান মানসবাবু। তাঁর দাবি, ”আমার বোনের নামে পুরোপুরি বানানো খবর রটানো হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপুল অর্থ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। এরকম একটা ঘটনা শুনে বাজে লাগছে। এইরকম বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। এটা কখনই কাম্য নয়।তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন আমার বোনের কোন যোগাযোগ নেই। এইভাবে ওর নাম জড়ানোয় ও ভীষণ চিন্তায় রয়েছে। আমরাও খুব বিব্রত হচ্ছি। এটা সম্মানহানির ব্যাপার।”
মোনালিসা দেবীর পরিবারের সকলেই শিক্ষার (Education) সঙ্গে যুক্ত। মা হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। বাবা ছিলেন ইএসআইয়ের ডেপুটি ম্যানেজার। ভাই বিদেশে। দাদার ব্যবসা। মানসবাবু জানান, ”আমার বোন একটা ফ্ল্যাট কেনার চেষ্টা করছে। তাও ব্যাংক লোন নিয়ে। যদিও এখনও সেটি হ্যান্ডওভার হয়নি। আমার বোনের নাম কেন উঠছে, আমরা বুঝতে পারছি না।” তবে ইডি বা সিবিআই তাঁদের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে তাঁরা প্রস্তুত আছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.