সুপ্রিম রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। একদিকে পথে নেমেছেন চাকরিহারারা। জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। একইদিনে মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের হয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপিও। প্রতি মুহূর্তের সমস্ত তথ্য সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর লাইভে।
বিকেল ৫.৫০: রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ চাকরিহারাদের। অবরুদ্ধ গড়িয়াহাট। “আগে সুপ্রিম কোর্ট পেটে লাথি মেরেছিল, আজ পুলিশ”, মন্তব্য চাকরিহারাদের।
বিকেল ৪.৩৫: সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হলে পদক্ষেপ করতেই হত। চাকরিহারাদের রাস্তায় ফেলে লাথি, কলার ধরে মারধর নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে জানালেন নগরপাল।
বিকেল ৪.২৮: সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বললেন, “ডিআই অফিস অভিযানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ৭ তারিখ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। চাকরিহারাদের সঙ্গে আছেন বলেছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কিছু জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, যা বাঞ্চনীয় নয়। তবে এর একটা ভালো দিক আছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে যাচ্ছেন। এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সকলকে ভরসা দিচ্ছি, সরকার ওদের সঙ্গে আছে। সবরকম সাহায্য করতে রাজ্য প্রস্তুত। ওরা যে কষ্টের মধ্যে রয়েছে আমরা সেটা বুঝতে পারছি। মানবিক দিক থেকে আমরা পদক্ষেপ করছি। আমার আবেদন, এমন কিছু করবেন না যাতে রাজ্যকেও কোনও পদক্ষেপ করতে হয়। পারস্পারিক আস্থা ছাড়া সমস্যা সমাধান নয়।”
বিকেল ৪.০১: লাঠিচার্জ নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। বললেন, “পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে ওরা। ৬ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। আমাদের কাছে সেইসব ভিডিওর ফুটেজ রয়েছে।”
দুপুর ৩.২১: চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “পুলিশ-প্রশাসন কী করেছে বলতে পারব না। কিছু ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? কটা দিন আন্দোলন স্থগিত করা যেত না?”
দুপুর ৩.১৭: অভিজিতের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে ব্রাত্য বসু বললেন, “আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কেন এলেন না জানি না, দল বারণ করেছে কি না। আমি জানি না। দপ্তরে উনি জানিয়েছেন।”
দুপুর ৩.০২: জেলায় জেলায় পুলিশের হাতে আক্রান্ত চাকরিহারারা। চার পুলিশ কর্মীও জখম, দাবি লালবাজারের।
দুুপুর ২.৪০: বিজেপি বিধায়কদের আটকের পরই লালবাজারে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা। গেটে বাধার মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। হুঙ্কার দিয়ে বললেন, “একাই এসেছি। গেট খুলুন।”
দুপুর ২.১৫: কসবায় চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদ। লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি বিধায়করা। শংকর ঘোষকে চ্যাংদোলা করে তুলল পুলিশ। আটক অগ্নিমিত্রা পল, শংকর ঘোষ আট বিজেপি বিধায়ক।
দুপুর ১.৫৬: চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিকাশভবনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । জানালেন, চিঠি দিতে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি। সেখানে দাঁড়িয়েই মমতাকে লেখা চিঠি ছিড়ে ফেলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বললেন, “যোগ্যদের জয় হবেই।”
দুপুর ১.৫৩: এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “আমরা আধঘণ্টার উপরে চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সিবিআইয়ের থেকে পাওয়া মিরর ইমেজে থেকে ওএমআর শিট পাবলিশ করতে বলেছি। উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করতে বলেছি। যাঁদের জীবন-মরন সমস্যা তাঁদের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত করা যায় সেটা দেখার কথা বলেছি। উনি শুনেছেন। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি।”
দুপুর ১.৪২: এসএসসি ভবনে পৌঁছলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
দুপুর ১.৩২: কোচবিহারেও ডিআই অফিসের সামনে দফায় দফায় উত্তেজনা।
দুপুর ১.২৫: বাঁকুড়ায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চাকরিহারা শিক্ষিকার। শর্মিষ্ঠা দুয়ারী নামে ওই শিক্ষিকা পাত্রহাটি হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন।
দুপুর ১.০৩: কসবায় চাকরিহারাদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার উর্দিধারীদের।
দুপুর ১২.৫০: চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসএসসি দপ্তরের পথে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেখা করবেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে।
দুপুর ১২.২০: মালদহে চাকরিহারাদের ডিআই অফিস ঘেরাও ঘিরে ধুন্ধুমার। বাধা দিতেই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি। চরম উত্তেজনা।
দুপুর ১২.১০: DI অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র কসবা। গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে তালা ভাঙার চেষ্টা চাকরিহারাদের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল হাতাহাতি। তালা ভেঙেই ডিআই অফিসে ঢুকলেন আন্দোলনকারীরা। পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের।
দুুপুর ১২.০৮: অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশে ছয়লাপ কসবা ডিআই অফিস।
দুপুর ১২.০৬: তমলুকেও ডিআই অফিসে তালা ঝোলালেন চাকরিহারারা। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, আমরা ভলান্টিয়ারিলি কাজ করব না।
দুপুর ১২.০৫: কলকাতার রাস্তায় মিছিলে চাকরিহারারা। তিনদফা দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক।
বেলা ১১.৫০: বর্ধমানে বিক্ষোভে চাকরিহারারা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশের। তুমুল উত্তেজনা।
বেলা ১১.৩০: ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে’র প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে এসএসসি ভবন যাবেন প্রাক্তন বিচারপতি।
সকাল ১০.৩০: বালুরঘাটের এসএসসি প্রতীকী মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে মিছিলে চাকরিপ্রার্থীরা।
সকাল ১০.০০: চাকরি বাতিলের প্রতিবাদ। বুধবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাও চাকরিহারাদের। মেদিনীপুরে ডিআই অফিসারকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। প্রবল উত্তেজনা অফিস চত্বরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.