সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় এলেও ঘরে ঢুকলেন না জামাই। শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ ছুঁয়েই চলে গেল জামাইয়ের গাড়ি৷ বিতর্ক এড়াতে রবিবার এভাবেই নিজের শ্বশুরবাড়ির পাড়া, দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকায় নির্বাচনীপ্রচার চালালেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া৷ তাঁর দুই শ্যালক জহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা৷ তাঁদের স্ত্রী ও পুত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই কুটুম্বিতা রক্ষা করলেন দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ৷
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের কর্মিসভায় কাউন্সিলরের পাশে বসে পুলিশ আধিকারিক, কমিশনে সিপিএম ]
বাবা না ঢুকলেও, মামার বাড়িতে একবার ঢুঁ মেরে এলেন এসএস আলুওয়ালিয়ার ছেলে মেহেক আলুওয়ালিয়া। এতদিন পর বোনের ছেলেকে কাছে পেয়ে আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখল না বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। বাড়ির জামাই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়াই করায় এমনিতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন জহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে নাকি নানান তির্যক প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের৷ জহরবাবু দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ৷ এবং তাপসবাবু এডিড-এর চেয়ারম্যান। তাপসবাবুর স্থায়ী নিবাস আসানসোলে৷ জহরবাবু থাকেন গোপালমাঠ এলাকায়৷ যেটাই সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার শ্বশুরের আদি বাড়ি৷ তাই শ্যালক-জামাইয়ের বিতর্ক পুরোটাই সামলাতে হচ্ছে জহরবাবুকেই। রাজনীতির কাঁটা তার শ্যালক ও জামাইবাবুর মধ্যে তৈরি করেছে বিস্তর বিভাজন।
[আরও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে কেশপুরের ওসিকে শাসানি, ফের বিতর্কে ভারতী ঘোষ ]
রবিবার সুরিন্দরের গোপালমাঠ এলাকায় ভোটপ্রচারে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাজসাজ রব পড়ে যায় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে৷ ঘরে জামাই আসবে বলে কথা! কিন্তু শ্যালক জহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনার জায়গাটা ভালই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বিজেপি প্রার্থী৷ তাই সেটা আর বাড়াননি তিনি৷ শ্বশুরবাড়ির সামনে গিয়ে জহরবাবুর স্ত্রী অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুত্র সায়নকে আর্শীবাদ করেই চলে যান তিনি৷ এবং বিতর্ক থেকে বাঁচতে জহরবাবু এদিন নিজের ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রচারে ব্যস্ত রেখেছিলেন নিজেকে। শ্বশুরবাড়িতে এলেও ঘরে ঢুকলেন না কেন? এই প্রশ্নে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া জানান, “আমার পরিচিত পাড়া এটি। আমি এখানে নির্বাচনী প্রচারে এসেছি। আত্মীয়-স্বজনদের দূর থেকেই প্রণাম করলাম। ২৯ তারিখ ভোট মিটলে ৩০ মে’ই শ্বশুরবাড়িতে আসব।” অন্যদিকে, জামাইবাবুর ভোটপ্রচার প্রসঙ্গে জহর বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি আজ ওয়ার্ডে প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। উনি গোপালমাঠে প্রচারে গিয়েছিলেন কিনা, তা আমার জানা নেই। ভোটের পর উনি আসতে চাইলে ওনাকে স্বাগত।”
ছবি: উদয়ন গুহ রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.