ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পরীক্ষার সাত দিনের মধ্যেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে দিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। বিভিন্ন মহলে আপত্তি সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষা হয়েছিল। এনটিএ জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে এবং চলতি মাসে দুটি রাউন্ডে যে জেইই মেইন পরীক্ষা হয়েছে তাতে ২৪ জন পরীক্ষার্থী ১০০ পারসেন্টাইল স্কোর করেছেন। এ রাজ্যে সম্ভাব্য শীর্ষে ডিপিএস রুবি পার্কের শ্রীমন্তী দে (৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল)।
চলতি বছরের ৭ ও ৯ জানুয়ারি এবং পরে ২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন)-এর প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১০০ পার্সেন্টাইল পাওয়া ২৪ জনের তালিকায় একমাত্র মহিলা প্রার্থী তেলেঙ্গানার চুক্কা তনুজা। দ্বিতীয় পত্রের (বি-আর্ক ও বি-প্ল্যানিং) ফল পরে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনটিএ। প্রত্যেকটি রাজ্যের সেরাদের নাম এদিন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানুয়ারিতে ফল প্রকাশিত হওয়া ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শ্রীমন্তী দে-র নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেরার তালিকায়। দিল্লি পাবলিক স্কুল রুবি পার্কের ছাত্রী শ্রীমন্তী দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। শ্রীমন্তীর মা সুস্মিতাদেবী জানিয়েছেন, মেয়ে সব ক্লাসে প্রথম হয়ে এসেছে। সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পেয়েছিল ৯৮ শতাংশ নম্বর। জানুয়ারিতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন-এ ভাল ফলের পরও রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন শ্রীমন্তী। রাজ্যের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান পান। শিক্ষামহল মনে করছে চলতি মাসে হওয়া পরীক্ষায় ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইলের বেশি কেউ এ রাজ্য থেকে পায়নি। এই কারণেই নতুন নাম জানায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
রবিবার মেডিক্যালে ভরতির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট। তার আগেই শুক্রবার রাতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভরতির প্রবেশিকার ফল প্রকাশ হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক সফল ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মাত্র সাত দিনের মধ্যে এনটিএ যে দ্রুততায় ফল প্রকাশ করল তা অবাক করার মতোই। এনটিএ জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শীর্ষ ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে আটজনই তেলেঙ্গানার। এছাড়া দিল্লির পাঁচ, রাজস্থানের চার, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, হরিয়ানার দুই, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের একজন করে রয়েছে। তবে এদিন রাত পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছিল। কারণ তারা পরীক্ষার ফল জানতে পারেনি। এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা দিয়েছেন ৮ লাখ ৫৮ হাজার পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য জয়েন্টে কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬০ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, প্রথম পত্রের র্যাঙ্ক হোল্ডাররা আইআইটি-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে বি-ই ও বি-টেক পড়ার সুযোগ পান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.