সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় বড় বড় বোর্ড লাগানো। আর তাতে বাংলায় দিক ও ভবন নির্দেশক তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই গণ্ডগোল। বানান ভুলের ছড়াছড়ি। বাংলা ভাষার এমন ‘হাল’ দেখে অনেকেই আঁতকে উঠছেন। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনাও শুরু হয়েছে। নেটিজেনদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পীঠস্থান বলা হয়। সেইরকম মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এইভাবে বানান ভুলের ছড়াছড়ি বড্ড চোখে লাগছে। আর এই বোর্ড কে লাগিয়েছে, তা নিয়ে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা (বিডিএ) ও বর্ধমান পুরসভার মধ্যে। ভুলের দায় কেউ নিতে রাজি নয়।
বিডিএ সম্প্রতি গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের রাস্তা সংস্কার করে। রাস্তার দুইধারে ফুটপাথ সাজিয়েছে। আলোকস্তম্ভ বসিয়েছে। সৌন্দর্যায়নে দেওয়ালে পশুপাখির ছবিও আঁকানো হয়েছে। এর কিছুদিন পরেই রাস্তার ধারে বিশ্ববিদ্যালয়, মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডল, রমনাবাগান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বোর্ডও লাগানো হয়। তবে বিডিএ-এর দাবি তারা এই বোর্ড লাগায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনের বোর্ডে ‘তোরণ’কে লেখা হয়েছে ‘তোড়ণ’। একই ভুল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনের বোর্ডেও। মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডলের সামনের বোর্ডেও বানান ভুল রয়েছে। রঞ্জিত গুহ নামে দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা সেই বোর্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন। সেখানে অনেকেই বাংলা ভাষা ও বানানের প্রতি এই অশ্রদ্ধা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
সম্প্রতি দুর্গাপুরেও বিভিন্ন রাস্তায় এমনই ভুল বানান লেখা বোর্ড লাগানো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এবার সেইরকমই বানান ভুল বর্ধমানে। বিডিএ-এর চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনিও শুনেছেন ওই বোর্ড ও বানান বিভ্রাটের কথা। তবে ওই বোর্ড বিডিএর তরফে বসানো হয়নি। বর্ধমান পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ জানান, রাস্তা পুরসভা তৈরি করেনি। বোর্ডও পুরসভা বসায়নি।
তাহলে বোর্ড কে বসালো, বানান ভুলটাই বা কার, শহরের কাছে এখন সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.