প্রতীকী ছবি।
সুমন করাতি, হুগলি: নবম শ্রেণির এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মগারায়। ৩ বন্ধুর সঙ্গে রথ দেখতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি অর্পণ পন্ডিত নামে ওই ছাত্র। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি খুন করা হয়েছে অর্পণকে।
জানা গিয়েছে, খন্নান পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ছিল অর্পণ। খন্নান ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণিতে পড়ত সে। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩ বন্ধু, বাপ্পা ধারা, মহাদেব ধারা ও অপু ধারার সঙ্গে মগরা থানার অন্তর্গত হয়েড়া রথ তলায় রথ দেখতে গিয়েছিল অর্পণ। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এর পরই ছেলেকে খুঁজতে বেরন ধনঞ্জয় পন্ডিত। বাড়ির সামনেই অর্পণের সেই ৩ দেখতে পান তিনি। তখনই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন অর্পণ কোথায়? কিন্তু তারা ঠিকভাবে কিছু না জানাতে পারেনি। ৩ জনকে নিয়েই রথ তলার যান ধনঞ্জয়বাবু। কিন্তু ওই এলাকায় গিয়েও ছেলের খোঁজ না পেয়ে ওই ৩ জনকে সঙ্গে নিয়েই মগরা থানায় চলে যান তিনি।
এর পর মগরা থানার পুলিশ অর্পণের বাবাকে একটি ছবি দেখায়। ছবি দেখেই তিনি ছেলেকে শনাক্ত করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে বলা হয় মগরা গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে। সেখানে গিয়ে ধনঞ্জয়বাবু দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় অর্পণকে গাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে। এর পরেই মগরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অর্পণকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। রাতেই সেখানে মৃত্যু হয় অর্পণের। এনিয়েই এখন দানা বেঁধেছে রহস্য। তবে অর্পণের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.