ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘মাওবাদী দমন’, পাহাড়, জঙ্গলের যুদ্ধে দক্ষ নতুন বাহিনী গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার। তবে ‘স্ট্র্যা’ (Special Trained Rapid Action) নামে রাজ্যের এই নতুন বাহিনী কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিকল্প হিসাবেও কাজ করবে, যা একেবারে নজির। অর্থাৎ মাওবাদীদের প্রভাব-সহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়া এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তুলে নিলে রাজ্যের নিজস্ব এই বাহিনী দক্ষতার সঙ্গেই পরিস্থিতির সামাল দিতে পারবে।
সেই কারণেই পুরুলিয়ার ছ’টি শিবির থেকে পাহাড়ি যুদ্ধে পটু নাগাল্যান্ড সশস্ত্র পুলিশকে কেন্দ্র তুলে নেওয়ার পর ওই ক্যাম্পগুলিতে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এক দিনের মাথাতেই স্ট্র্যাকো, জুনিয়র কনস্টেবল অ্যাসল্ট গ্রুপকে একাধিক জায়গা থেকে সরিয়ে এই ‘স্ট্রা’ ও CISF মোতায়েন করেছে রাজ্য। এই নতুন বাহিনীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিকল্প হিসাবে স্বনির্ভর হতে চাইছে রাজ্য পুলিশ।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাহিনী গত জুলাই মাসে গড়ে উঠেছে। সাধারণ প্রশিক্ষণের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের সালুয়াতে এই বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণ হয়। কীভাবে জঙ্গল যুদ্ধে লড়তে হয়, সালুয়ায় মূলত তার পাঠ দেওয়া হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রথম ধাপে এই বাহিনীর ৬০০ জনের মধ্যে ৩০০ জন করে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে থাকবে। যদিও এই রাজ্যে মাওবাদী দমনে CISF নামে একটি বাহিনী রয়েছে। কিন্তু নতুন বাহিনী ‘স্ট্রা’পাহাড় ও জঙ্গল যুদ্ধে নাগাবাহিনীর মতই দক্ষ। বলা যায়, একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী CRPF’এর কোবরার মতই পারদর্শী।
অতীতে স্ট্র্যাকো, কম্যান্ডোর মতো বাহিনীই এই রাজ্যে মাওবাদীদের মোকাবিলা করত। তারপর রাজ্যে পালাবদলের আগে এই CISF তৈরি হয়। রাজ্য পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দেশের অন্যান্য কোনও জায়গায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বা নির্বাচনের সময়ও প্রায় হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে একসময়ের উপদ্রুত এলাকায় থাকা ওই শিবির সামাল দিতে রাজ্য পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
সেই কথা মাথায় রেখেই এই নতুন বাহিনী ‘স্ট্র্যা’ গড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বাহিনী শিবির সামাল দেওয়ার পাশাপাশি জঙ্গলে প্রায় টানা তিন দিন অ্যামবুশ করে শত্রুপক্ষকে জবাব দিতে পারবে। কেমন এই ‘স্ট্রা’? একঝলকে দেখে নেওয়া যাক –
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.