সুব্রত বিশ্বাস: ঠাসাঠাসি ভিড় এড়াতে এবার অত্যাধুনিক কোচসম্পন্ন লোকাল ট্রেন (Local Train) তৈরি করল রেল। ৩০ শতাংশ বেশি যাত্রী চড়তে পারবে এই ট্রেনে। মঙ্গলবার দুপুরে এই মেমু (MEMU) ট্রেন প্রথম চলা শুরু হল বারাকপুর থেকে লালগোলার মধ্যে। দুপুর ১২ টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের সূচনা করলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই সূচনায় আমন্ত্রণ পেয়েও আসেননি বারাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। ছিলেন ডিআরএম এস পি সিং।
পাঞ্জাবের কাপুরথালাতে এই প্রথম মেমু ট্রেন তৈরির পরই একটি রেক প্রথম এসে পৌঁছেছে শিয়ালদহে। নতুন বছরে বারাকপুর-রানাঘাট-লালগোলার মাঝে এই রেকটি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে একাধিক ব্যবস্থাও রয়েছে এই ট্রেনের কোচে। গদিওয়ালা সিট, বায়ো টয়লেট, সুরক্ষার জন্য এক কোচে চারটি সিসিটিভির (CCTV) নজর। প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেমের সঙ্গে সুরক্ষার যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল সুরক্ষা।
যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে বিপজ্জনক কোনও আশঙ্কা থাকলেই ১১০ কিলোমিটার বেগে চলা ট্রেনের গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। সম্পূর্ণ স্টেনলেস স্টিলের বডির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাচের দরজা। ইলেকট্রিক কন্ট্রোল সিস্টেমটি সম্পূর্ণ নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) তৈরি। চালকের কোচে থাকবে ব্ল্যাক বক্স, যা প্রতি সেকেন্ডে রেকর্ডিং হবে। চালকের কেবিনটি সম্পূর্ণ এসি (AC)। রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেখতে একেবারে কলকাতা মেট্রোর রেকের মতো। তিরিশ শতাংশ যাত্রী বেশি চড়তে পারবেন, যা বর্তমান খুবই প্রয়োজনীয়। এগারো কামরার একেবারে আধুনিক প্রযুক্তির এই রেক এবার চলবে সুরক্ষা কবচ নিয়েই, এমনই রেলকর্তাদের ধারণা। এর জন্য একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে রেকটিকে। এদিন এই মেমু ট্রেনের উদ্বোধন করে সাংসদ বলেন, ”এই ধরনের কাজ আরও হবে। জমি জটে আটকে থাকা প্রকল্প শেষ হবে শিগগির। হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে স্টেশনের উন্নয়ন করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.