শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: রেশন দোকানে বরাদ্দের তুলনায় কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শনি ও রবিবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল সালার-সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। তার জেরে রবিবার সকাল থেকে জঙ্গিপুরের বিভিন্ন রেশন দোকান পরিদর্শনে বেরলেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ছিলেন জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী। তিনি জানান, রেশন দোকানের কাজ-সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেও জেলার বিভিন্ন রেশন দোকানে গ্রাহকদের লম্বা ভিড় নজরে পড়েছে। কোথাও সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে চলার বিধি প্রায় মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। এসপি ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, রেশনে ত্রাণসামগ্রী নিতে জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সেদিকটাও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। রবিবার বেরিয়ে সেসবই পরিদর্শন করলেন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। এই এলাকা অরেঞ্জ জোনে থাকায় সেখানে ন্যূনতম বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু শনিবারের এত অশান্তির পর রবিবার রেশন দোকানের সামনের ভিড়েও চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে পুলিশ কর্তাদের কপালে।
শনিবারের পর রবিবার সকালেও থেকেই রেশনে কারচুপির অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিডিও ও ওসি। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ সিল করা হয় রেশন দোকানটি। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিলারকেও। শনিবার যদিও পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত ছিল। দুর্নীতির অভিযোগে রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িতে এভাবে জমায়েত হল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ধারাবাহিক এই ঘটনায় কিছুটা চাপে স্থানীয় প্রশাসন। সালারের পুনরাবৃত্তি যাতে অন্যত্র না হয়, তাই আজ পুলিশ সুপার ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের পরিদর্শন। কোথাও কোনও বেনিয়ম দেখলে, সঙ্গে সঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে প্রশাসনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.