Advertisement
Advertisement
South Dinajpur

সমন্বয়ের চূড়ান্ত অভাব আদিবাসী মহলে! বন্‌ধ প্রত্যাহার করেও সরকারি বাসে অগ্নিসংযোগ

বংশীহারীতে এই ঘটনা ঘটলেও বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরে স্বাভাবিক জনজীবন।

South Dinajpur: fire at govt. bus at despite strike withdrawn by tribal community
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 2, 2024 11:59 am
  • Updated:September 2, 2024 12:08 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের চেষ্টা। প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ডেকেও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে সোমবার তবু বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে সরকারি বাসে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটল। অর্থাৎ আদিবাসীদের একাংশ বন্‌ধ পালনে মরিয়া। অথচ অন্যদিকে বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর-সহ একাধিক জায়গায় জনজীবন স্বাভাবিক। খোলা দোকানপাট, স্বাভাবিক যানচলাচলও। আর এতেই তাদের সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ের চূড়ান্ত অভাব প্রকাশ্যে এল।

গত সপ্তাহে বংশীহারীর এক আদিবাসী নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলায় ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সোমবার। ধর্মঘট রুখতে রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সংগঠনের সদস্যদের আলোচনার টেবিলে ডাকে। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সংগঠনের সদস্যরা জানান, সোমবার তাঁরা বন্‌ধ (Strike) পালন করবেন না, তা তুলে নেওয়া হল। কিন্তু এক রাতের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা জেলার প্রত্যেক আদিবাসী এলাকায় পৌঁছয়নি। ফলে সোমবার ধর্মঘট হবে, এটাই জেনেছিলেন বংশীহারী, দৌলতপুর এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের (Tribal) মানুষজন। সেইমতো সকাল থেকে বন্‌ধ সফল করতে পথে নেমে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিবেক-শিক্ষা হারিয়েছিস! নির্লজ্জ কমেডি…’, বন্ধু কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাজ্য’ করলেন সুদীপ্তা]

সোমবার সকালে যাত্রীদের নিয়ে গঙ্গারামপুর (Gangarampur) থেকে একটি সরকারি বাস যাচ্ছিল বর্ধমানের কালনার দিকে। অভিযোগ, বংশীহারীর থানার দৌলতপুরের কাছে বাসটির পথ রোধ করে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। তার পর সরকারি বাসে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকল সেখানে উপস্থিত হয়। বাসের আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু বাসটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। কিন্তু আগেরদিন বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের (Withdraw) পরও কেন এমনটা ঘটল? এ প্রশ্নের জবাবে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, আসলে আদিবাসীদের মধ্যে সমন্বয়ের চূড়ান্ত অভাব। তাই একপক্ষের সিদ্ধান্ত মানতে চায় না অপর পক্ষ।

[আরও পড়ুন: ‘আসনা’র প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায়, মৃত অন্তত ২৪, বাতিল শতাধিক ট্রেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement