রাজা দাস, বালুরঘাট: ফের মোমো আতঙ্ক উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের পর এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে। তপনে এক কলেজ পড়ুয়ার মোবাইলে এসেছে মারণগেমের লিংক। নম্বরটি যথারীতি অচেনা। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
[ এবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও মোমো আতঙ্ক, পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল কিশোর]
মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। অভিমান করে হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়েছিলেন, ‘আমি মরে যাব।’ এরপরই অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসতে শুরু করে জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রী কবিতা রায়ের মোবাইলে। কবিতার দাবি, মেসেজ তাঁকে অনলাইন গেম মোমো চ্যালেঞ্জ খেলার আহ্বান জানানো হয়। ভয় পেয়ে যান ওই ছাত্রী। দাদার পরামর্শে যে নম্বর থেকে মেসেজ আসছিল, সেই নম্বরটি ব্লক করে দেন তিনি। অভিযোগ জানান থানায়। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি মোমো আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে এক কলেজ পড়ুয়াকে আটক করেছে জেলা পুলিশের সাইবার সেল। তদন্তকারীদের দাবি, মজাচ্ছলেই বন্ধু ও পরিচিতদের মোবাইলে মোমো গেমের নাম করে একটি লিংক পাঠিয়েছিলেন তিনি। এদিকে আবার দার্জিলিংয়ে কার্শিয়াংয়ে এক কিশোরের রহস্যৃমৃত্যুতে মোমো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, মারণ গেমের নেশায় নাকি সে আত্মহত্যা করেছে। আর এবার মারণ গেমের লিংক দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের এক কলেজের ছাত্রের মোবাইলেও।
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের রামপুরের বাসিন্দা আরিফ সরকার। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি। শুক্রবার সকালে এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে। আরিফ সরকারের দাবি, যিনি মেসেজ পাঠিয়েছেন, তিনি নিজেকে মোমো বলে পরিচয় দেন। আগামী তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান মেসেজ প্রেরক। প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল দেননি ওই কলেজ পড়ুয়া। ভেবেছিলেন, কোনও বন্ধু হয়তো মজা করছে। এরপরই আরিফের এক বন্ধু ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে তাঁকে সচেতনতামূলক একটি ভিডিও পাঠান। তাতে হুঁশ ফেরে। ওই নম্বরটি ব্লক করে শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আরিফ সরকার। তবে আতঙ্ক কাটেনি ওই যুবকের। শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, মোমো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক কিশোর মারণ গেম রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ওই কিশোরকে নিরস্ত্র করে পুলিশ।
[ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ, হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.