ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ত্রাণের ত্রিপল বিলি নিয়ে গন্ডগোলের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে তৃণমূল ও বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আমফানের দাপটে যাঁদের ঘরের চাল উড়েছে তাঁদের ত্রিপল দেওয়ার কাজ চলছে কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অনেকেই সেই ত্রিপল না পেয়ে শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রধানের কাছে দরবার করেন। ত্রিপলের দাবিদারদের মধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন সমর্থকও ছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তাহারুল হক পাইক-সহ অন্য সদস্যদের ত্রিপল না পাওয়া মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
দু’পক্ষের বাদানুবাদে ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়। বিজেপির কুলপি ব্লকের ইনচার্জ প্রবীর রায় জানান, বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদেরই ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের বারবার ত্রিপল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা না দেওয়ায় এদিন তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে দরবার করতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা সেইসময় তাঁদের যাদবনগরের পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামল পাত্র-সহ আরও কয়েকজনকে প্রচণ্ড মারধর করে। শ্যামল পাইকের দোকানও লুট করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। তখনকার মতো এই গন্ডগোল মিটে গেলেও পরে ত্রিপল না পাওয়া নিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রামকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের নাগনন গ্রামে। হোসেন পাইক নামে এক ব্যক্তি ত্রিপল না দেওয়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তাহারুল হক পাইককে গালিগালাজ শুরু করে। তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য তার প্রতিবাদ করলে হোসেন তাঁর পেটে ব্লেড চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আহত অবস্থায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কুলপি হাসপাতালে ভরতি। তিনি বলেন, যা ত্রিপল এসেছিল সব বিলি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন এলে যাঁরা পাননি তাঁদের দেওয়া হবে বলে বলা সত্ত্বেও বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল পাকিয়েছে। এদিন বিকেলে তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন সেইসময় বিজেপি সমর্থক হোসেন পাইক তাঁকে গালিগালাজ করতে করতে এগিয়ে এসে পেটে ব্লেড চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আহত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। এদিকে পালাবার সময় হোসেনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপি অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে দলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.