ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল তিনজনের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বছরের প্রথম রবিবার। সকাল থেকে ভাল আবহাওয়া। বৃষ্টিও নেই। এমন মনোরম পরিবেশে অনেকেই বন্ধুবান্ধব-আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে চড়ুইভাতির প্ল্যান করেছেন। ভিড় জমেছে নানা পিকনিক স্পটে। ঠিক তেমনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে আত্মীয়ের বাড়ির কাছে একটি কেজি স্কুলে এদিন পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই ঘটল দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছাদের পাশ দিয়েই বিদ্যুতের তার গিয়েছে। সেই তারেই হাত লেগে যায় একজনের। তাঁকে কাতরাতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যান আরও দু’জন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট একজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ওই পরিবারেরই আরও একজনকে। পরে সেখানেই মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মগরাহাটের মামুদপুর থেকে একই পরিবারের কয়েকজন মিলে উস্তি থানার বানেশ্বরপুরে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছের কেজি স্কুলে পিকনিক করতে আসেন। পিকনিক চলাকালীনই স্কুলের ছাদে উঠে যায় কয়েকজন। সেখানেই ছিল বিদ্যুতের হাইটেনশন তার। পিকনিকে যখন খাওয়া-দাওয়ার তোড়জোড় চলছিল তখন ছাদে হইহুল্লোড়ের মাঝে কোনওভাবে সেই তারে হাত লেগে যায় রেজাউল মোল্লা এবং গফফার মোল্লার। ছেলে রেজাউল ও ভাইপো গফ্ফরকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মফিজুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা উদ্ধারকারীদের একজন আব্দুর রউফ বৈদ্য জানিয়েছেন, তিনজনকেই উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে বানেশ্বরপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রেজাউল ও গফফরকে মৃত ঘোষণা করেন। অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় মফিজুলকে ভরতি করা হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তাঁরও। ঘটনায় ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। তাঁদের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.