সম্যক খান, মেদিনীপুর: স্কুল হওয়ার পর যথারীতি স্কুল গেটে তালা পড়ে গিয়েছে। বাড়ি চলে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অন্যকর্মীরা। ধীরে ধীরে সন্ধেও নেমেছে তার নিজস্ব নিয়মে। কিন্তু তখনই বন্ধ স্কুলের ভিতর থেকে ভেসে এল শিশুর কান্নার আওয়াজ! যা ঘিরে তোলপাড় চলে অধিক রাত পর্যন্ত।
একে একে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় কাউন্সিলার, পুলিশ থেকে অজস্র জনতা। রীতিমতো ভৌতিক ব্যাপার! খোলা হয় স্কুল গেটের তালা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চালানো হয় তল্লাশি। কিন্তু শেষমেশ কিছুই পাওয়া যায়নি। নাটকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধেয় মেদিনীপুর শহরের কুইকোঠা শঙ্করী বিদ্যানিকেতনে।
সন্ধের সময় কেউ বা কারা ওই পথ দিয়ে যাতায়াতের সময় নাকি ভিতর থেকে কোনও বাচ্চা ছেলের কান্নার আওয়াজ পেয়েছেন। দ্রুত রটে যায় এই খবর। তাতেই ভিড় বাড়তে থাকে স্কুলের সামনে। অনেক অভিভাবকও চলে আসেন। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো স্কুল বন্ধ করার আগে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী ভিতরে ভুলবশত থেকে যেতে পারে। এ নিয়ে নানা সমালোচনা ভেসে আসে। অনেকে ভূত-পেত্নির ভয়ও দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলার মিতালী বন্দোপাধ্যায়। ডাকা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিহির কুমার বাগকে। কোতয়ালি থানা থেকে আসে পুলিশও। তারপর স্কুলের তালা খুলে প্রতিটি ক্লাসরুম থেকে শুরু করে ছাদ, জলের ট্যাঙ্ক, বাথরুমে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কারও কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তবে কাউন্সিলার মিতালীদেবীও মানছেন, কোনওভাবে গুজবও ছড়ানো হতে পারে। বিষয়টিকে পরিকল্পিত গুজব বলেই মনে করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির কুমার বাগও। তিনি বলছেন, বিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হয়েছে। এরকম হওয়া উচিত নয়। তাঁর কথায়, বিদ্যালয়ের ভিতর ঢুকে বেশ কয়েকজন খেলাধূলা করত, দুষ্টুমি করত। তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের দিকেই সন্দেহের তীর প্রধান শিক্ষকের। তবে মঙ্গলবার যথারীতি স্কুলে নিয়ম মেনে সমস্ত ক্লাস হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.