বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নদিয়ার গয়েশপুরে বিজেপি (BJP) কর্মী বিজয় শীলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে সোমবার উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় তোলা হয় তৃণমূলকে। এদিন কল্যাণীতে (Kalyani) ১২ ঘণ্টার বন্ধে প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে, ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
সোমবার থানা ঘেরাও কর্মসূচির পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ তথা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “বাংলায় কুড়ি টাকার পাউচ মদের কারখানা তৈরি করছে পিসি-ভাইপো। আর ওই মদ খাইয়েই একটি বিশেষ কায়দায় একের পর এক খুন করা হচ্ছে বিজেপি কর্মী-সমর্থককে। এখানেই শেষ নয়।” এরপরই তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “এই খুনোখুনি বন্ধ না হলে শুধু নদিয়া জেলাই নয়, সারা বাংলা বন্ধের ডাক দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাস সরবরাহের পেশায় যুক্ত বিজয় শীল নামে বছর আটত্রিশের বিজেপি কর্মী এলাকার বেশ সক্রিয় ছিলেন। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। আর ফেরেননি। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গয়েশপুর শ্মশানের কাছে একটি আমবাগানে বিজয় শীলের দেহ ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী। এরপরই হইচই শুরু হয়। পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকজন তাঁকে প্রায়ই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। তবে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ ছিল কি না, তা বিজয় শীলের পরিজনেরা খোলসা করে বলতে পারেননি।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানোতর। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলই বিজয় শীলকে খুন করিয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। মুকুল রায় টুইটে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ঘটনাটিতে দৃষ্টিপাতের আরজিও জানিয়েছেন তিনি। আর থানা ঘেরাওয়ের দিন সেই অভিযোগই ফের উসকে দিলেন সৌমিত্র খাঁ। তবে বিজেপি কর্মী আদৌ খুন হয়েছেন কি না, সে নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.