সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায, দুর্গাপুর: হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্র ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু ১২ মে, ষষ্ঠ দফায় নিজের কেন্দ্রে ভোটের আগে সেই অজ্ঞাতবাস থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁকে ‘দাগি আসামি’ বলে প্রচার করা হচ্ছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। এনিয়ে সৌমিত্র খাঁ’র বক্তব্য, ‘এক অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ বাচ্চা ছেলে কী বলল, তাতে কিছু এসে যায় না৷ আমাকে দাগি আসামি বলার আগে তৃণমূল যে সব আসামিদের এবারও প্রার্থী করেছে তাদের নিয়েও কিছু বলুক।’
হাই কোর্টের নির্দেশে সৌমিত্র খাঁ দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর একটি বেসরকারি হোটেলে রয়েছেন বেশ কয়েকদিন ধরে। শাসকদলের পক্ষ থেকে বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ্ণুপুরে পাঠানো হয়েছে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ’র প্রতিক্রিয়া, ‘বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক থাকতেও বীরভূম থেকে নেতা আনতে হচ্ছে তৃণমূলকে। পর্যবেক্ষক হিসাবে তিনি ব্যর্থ হওয়াতেই অন্য জেলার নেতাকে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে৷ নেহাত আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়ায় ঢুকতে পারছি না। উনি পাচনের দাওয়াই বাতলেছেন। আমি বাঁকুড়ায় থাকলে ওনাকে বাঁকুড়ার রুক্ষ মাটিতে হাল বইতে গেলে হেলেবাড়ির দাওয়াই কাকে বলে, তাঁকে দেখিয়ে দিতাম।’ এখনও তাঁকে শাসকদলের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে বলে সোমবার দুর্গাপুরের ওই অস্থায়ী বাসস্থান থেকে অভিযোগ তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ।
ভোটের আগেই দলের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধিতার জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ৷ বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন ২০১১ সালে৷ তার পরপরই দল পালটে ফেলেন তিনি৷ ২০১৪ সালে তৃণমূলের হয়ে বিষ্ণুপুরের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান৷ জয়ী হয়ে সাংসদও হন৷ সৌমিত্র খাঁ রাজ্যের কনিষ্ঠ সাংসদদের মধ্যে অন্যতম৷ আর এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে৷ ফলে দলবদলে অঙ্কটা তাঁর বেশ ভালভাবেই জানা৷ বিষ্ণুপুরে না ঢুকেও কীভাবে জনসংযোগ করতে হয়, প্রচারে থাকতে হয়, তাতে বেশ সিদ্ধহস্ত সৌমিত্র খাঁ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.