অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: স্বজনপোষণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলদেরই একাংশ। আস্থা ভোটে হেরে ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ হারালেন তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন। বৃহস্পতিবার পুরসভায় তলবি সভা ডেকেছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার চাকি। সভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১৫ জন কাউন্সিলর।
বছর দুয়েক আগে তৈরি হয় মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভা। ২১ আসনের পুরসভার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৃণমূলেরই। গত ১ জুলাই চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন শাসকদলের ১৩ জন কাউন্সিলর। নিয়ম মেনে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পাঠানো হয় মহকুমা শাসককেও। পুর আইন অনুযায়ী, মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি জমা পড়ার পর পনেরো দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে হয় সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যানকে। কিন্তু, এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তলবি সভা ডাকেননি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। শেষপর্যন্ত সাতদিনের নোটিশে বৃহস্পতিবার তলবি সভা ডাকেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার চাকি। সভায় চেয়ারম্যান হাজির ছিলেন ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করিয়ে নেন ডোমকল পুরসভার ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর।
কিন্তু ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে কেন অনাস্থা আনলেন তাঁর দলেরই কাউন্সিলর? জানা দিয়েছে, গত দু’বছর ধরে সৌমিক হোসেনের কাজে একেবারেই খুশি ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, বোর্ড গঠনের পর দু’বছর কেটে গেলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সরকারিভাবে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখাননি চেয়ারম্যান। এমনকী, পুরসভায় তিনি নিয়মিত আসেনও না। ফলে পুরসভার কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটছিল, তেমনি পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে পুরসভায় আর্থিক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগও ছিল। এদিকে আস্থা ভোট নিয়ে ডোমকল পুরসভার অপসারিত চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.