রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: অধিকারী পরিবারে পদ্মফুল ফোটাবেন বলে হুঙ্কার আগেই দিয়েছিলেন। সেকথাই কী তবে বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শুক্রবারই নাকি কাঁথির ডরমেটরি মাঠে দাদা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) জনসভার মঞ্চেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কিংবা সৌমেন্দু কারও তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সদ্যই শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করেছেন। একসময়ে ঘাসফুল শিবিরের বলিষ্ঠ সৈনিক নাম লিখিয়েছেন বিরোধী বিজেপি (BJP) শিবিরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা সত্যিই তৃণমূলের অন্দরে বড় ধাক্কা। তার উপর আবার শুভেন্দুর দলবদলের পর ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সৌগত রায়ের (Sougata Roy) সভামঞ্চে কিংবা মিছিলে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কাউকেই। তাতে জল্পনা যে বেশ কয়েক গুণ বেড়েছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তারই মাঝে মঙ্গলবার বারাকপুর থেকে অধিকারী পরিবারেও পদ্মফুল ফোটানোর দাবি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদ হারিয়েছেন সৌমেন্দু। কাঁথির পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সৌমেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন শুভেন্দুর আরেক ভাই দিব্যেন্দুও। পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনিও। তারই মাঝে আবার বুধবার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে দেখা গিয়েছে শান্তিকুঞ্জে। তিনি দাবি করেছেন, শিশির অধিকারী-সহ পরিবারের সকলের সঙ্গেই ‘সাক্ষাৎ’ হয়েছে। যদিও সেকথা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)।
এই প্রেক্ষাপটেই এবার রাজনৈতিক মহলে নয়া গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, দাদার পথ অনুসরণ করে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন সৌমেন্দু অধিকারীও। শুক্রবার কাঁথির ডরমেটরি মাঠে সভা রয়েছে শুভেন্দুর। ওই সভামঞ্চেই নাকি গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন অধিকারী পরিবারের আরেক সন্তান। এমনকী ১৬ জন বিদায়ী কাউন্সিলরও নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। যদিও এ বিষয়ে সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও মুখে কুলুপ এঁটেছে। আগামিকাল শুভেন্দুর সভায় জল্পনার বাস্তবায়ন হয় নাকি জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করেন সৌমেন্দু, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.