Advertisement
Advertisement
Jamaluddin Sardar

‘মুখ খুললেই হাই কোর্টে মামলা’, অভিযোগকারীদের হুঁশিয়ারি সোনারপুরের জামালের

প্রিজন ভ্যানে বসে চোখে মুখে দুশ্চিন্তার লেশমাত্র ছিল না জামালের।

Sonarpur's Jamaluddin Sardar allegedly threatens complainant
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 20, 2024 4:18 pm
  • Updated:July 20, 2024 4:51 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সামনে হাঁটছেন শেখ শাহজাহান। সাদা পোশাকে সেজে হাতের আঙুল উঁচিয়ে হাঁটছেন তিনি। পিছনে পুলিশকর্মীরা। শেখ শাহজাহানের আদালতে ঢোকার এই ছবি নিয়ে আলোচনা কম হয়নি।

Shahjahan Sheikh dressed in all white before produced in court
আদালতে রাজকীয় মেজাজে শেখ শাহজাহান। নিজস্ব চিত্র

গ্রেপ্তারির পর আদালতে তোলার সময় ঠিক একইরকম ভাবলেশহীন সোনারপুরের ‘ত্রাস’ জামাল। চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপমাত্র নেই। বরং পুলিশের ভ্যানে বসে তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা মুখ খুলেছেন, তাঁদের নামে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারি দেন জামালউদ্দিন সর্দার।

Advertisement

সোনারপুরের বিজেপি নেতা সমীর নস্কর সোনারপুরের ‘ত্রাস’ জামাল সর্দারের(Jamaluddin Sardar) বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, ২০০৬ সালে নিজের দাদাকে কুপিয়ে খুন করেন জামাল। তার আগে ২০০২ সালে এক মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে জামালের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সমীরের ছেলেকে অপহরণের ঘটনাতেও জামালের নাম জড়িয়েছে বলেই অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে এদিন আদালতের বাইরে জামালকে প্রশ্ন করা হয়। তাঁর দাবি, সমীর নস্কর নামে ওই বিজেপি নেতা চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। জামালের হুঁশিয়ারি, “আমার বিরুদ্ধে যাঁরা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন, তাদের নামে হাই কোর্টে মামলা করছি।”

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গিয়ে প্রেম, ঘর বাঁধতে চেয়ে ফেরেননি মা! জন্মদাত্রীকে বিক্রির ‘গুজবে’ গ্রেপ্তার ছেলে]

প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক জামাল। তাঁর বাড়ির ভিতর এলাহি ব্যবস্থাপনা। সুইমিং পুলে চড়ে বেড়ায় পোষ্য কচ্ছপ। রয়েছে ঘোড়া। তার দেখভালের জন্য রয়েছে কর্মী। এছাড়া বাড়িতে পরিচারক-পরিচারিকারও শেষ নেই। অবশ্য জামালের আয়ের উৎস তেমন কিছু নেই। নিজের বাড়ির ভিতরে আলাদা পৃথিবী গড়ে তুলেছিলেন জামাল। অভিযোগ, সেখানে সালিশি সভা বসাতেন তিনি। সেই সালিশি সভাতেই শিকলে বেঁধে মহিলাকে নির্যাতন করেছিলেন জামাল। যা নিয়ে হইচইয়ের পর থেকেই এলাকাছাড়া হয়ে যান সোনারপুরের ‘ত্রাস’। সরাসরি কিছু না বললেও জামালের দাবি, “তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।”

‘সাম্রাজ্য’ ছাড়া হয়ে জঙ্গলে রাত কাটান জামাল। ঘুঁটিয়ারি শরিফে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় গা ঢাকা দেন। সেখান থেকে কখনও বিধাননগর আবার কখনও ডানকুনিতে রাত কাটান। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে যাতে তাঁকে ধরা না যায়, তাই বার বার সিম কার্ড বদল করেন। স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ নিতে শাশুড়িকে ফোন করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান জামাল। শুক্রবার সন্ধেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তোলা হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে।

[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে মুক্তি! ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ফেরত পড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement