স্টাফ রিপোর্টার: কটাদিন আগেই জামাইষষ্ঠীতে বাড়ি এসেছিলেন তিনি৷ হাসিখুশি মানুষ৷ হাসতেই হাসতেই বলতেন, কোনও একদিন মাওবাদীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে পারেন৷ কিন্তু তা যে সত্যিই একদিন সত্যি হয়ে উঠবে স্বপ্নেও ভাবেননি দুই নারী৷ জওয়ান দীপক ঘোষের মৃত্যুর খবর আসার পরই বাকরুদ্ধ তাঁর মা ও স্ত্রী৷
কমান্ডো ছেলেকে নিয়ে গর্ব করতেন তাঁর মা বৃদ্ধা চাঁদুবালা৷ কোবরা ব্যাটালিয়ানের নানা অভিযানের কথা স্বামীর কাছে শুনতেন দেবশ্রী৷ অভাবী পরিবার৷ দীপক আধাসামরিক বাহিনীতে ঢোকার পর কিছুটা স্বাচ্ছল্য এসেছিল৷ মাওবাদীদের বুলেট কেড়ে নিল দীপকের প্রাণ৷
নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকার জামড়েডাঙা গ্রাম৷ সাত বছর আগে সেণ্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এ ঢোকেন দীপক ঘোষ৷ মাওবাদী দমনে বিহারে অন্য জওয়ানদের সঙ্গে মোতায়েন ছিলেন তিনিও৷ সোমবার গয়া এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলার সীমানায় দুমরাইমালা জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে জওয়ানদের৷ কয়েকঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর দশজন কমান্ডো মারা যান৷ মৃতদের তালিকায় আছেন দীপক৷ বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছিলেন৷ মঙ্গলবার সকালে চাপড়া থানার পুলিশ এসে জওয়ানের মৃত্যু সংবাদ দিয়ে যায়৷
দুঃসংবাদ আসার পর থেকেই বাড়ির সবাই যেন বাকশক্তি হারিয়েছেন৷ গোটা পাড়া যেন নিঝুমপুরী৷ নিঃশব্দে সবাই এসে স্বান্তনা জানিয়ে যাচ্ছেন৷ এখনও দীপকের দেহ এসে পৌঁছয়নি গ্রামের বাড়িতে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ সিআরপিএফ-এর শীর্ষ কর্তারা দুমরাইমালা জঙ্গলে গিয়েছেন৷ আজ, বুধবার জওয়ানের দেহ তাঁর বাড়িতে আনা হতে পারে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.