রঞ্জন মহাপাত্র: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে এবার উলটপুরান। বিজেপির সমর্থনে বোর্ড গড়ল তৃণমূল (TMC)। প্রধান নির্বাচিত হলেন সেখানকার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল-বিজেপির (BJP) এই ‘আঁতাঁত’ নিয়ে সরব অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। যদিও হাতে হাত ধরা দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য, এভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই।
নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) মোট আসন ১৮টি। ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, তৃণমূল পেয়েছিল ১২টি আসন, বিজেপি জিতেছিল ৬টি আসন। শুক্রবার বোর্ড গঠনের সময়ে তৃণমূলের তরফে হুইপ জারি করে বলা হয়, প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে শেখ শাহনওয়াজ খানকে। কিন্তু শপথগ্রহণের পর দেখা যায়, দলের সেই হুইপ অমান্য করে শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুলকে প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপির (BJP) ৬ সদস্য-সহ তৃণমূলের ৬ সদস্য। ফলে সমস্ত হিসেব উলটপালট হয়ে গেল। বোর্ড গঠন করল তৃণমূল।
তবে বিজেপির সাহায্য নিয়ে এভাবে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করার মধ্যে আদৌ বিতর্ক নেই কিছু, এমনই দাবি নির্বাচিত প্রধান শেখ হাবিবুলের। তিনি বলছেন, ”আমি সকলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কে ভোট দিল, কোন দলের সমর্থক আমাকে ভোট দিল, সেটা বড় কথা নয়। ভোটের ফল ১২-৬। আমি প্রধান নির্বাচিত হয়েছি।” বিজেপির তরফে সুযোগ্য মাইতি কোনও বিতর্কে না ঢুকে সাফ জানালেন, ”আমাদের সমর্থনেই উনি প্রধান হয়েছেন।” তবে বিতর্ক থামছে না। সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পরিতোষ পট্টনায়কের দাবি, ”আমরা বরাবরই বলছি, বিজেপি আর তৃণমূলের গোপন আঁতাঁত আছে। এবার সেটাই প্রমাণিত হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.