ছবি: প্রতীকী।
সুমন করাতি, হুগলি: শাশুড়ির প্রেমে বাধা হওয়ায় খুন জামাই। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে এক যুবকের সঙ্গে শাশুড়িকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন যুবক। তারই মাশুল গুণতে হয় তাঁকে। শাশুড়ির প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয় জামাইকে। হুগলিলর কোন্নগরের মর্মান্তিক এই ঘটনার দেড় মাস পর গ্রেপ্তার হল অভিযুক্ত।
উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কোন্নগর নবগ্রামে গত ৮ এপ্রিল শ্বশুর বাড়ির উঠোনে খুন হন জামাই বাবুসোনা দাস। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দার বাবুসোনা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কোন্নগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দিন সন্ধেয় কাজ সেরে শ্বশুর বাড়িতে যান বাবুসোনা। শাশুড়িকে এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি।শাশুড়ি মিনতি দাসের সঙ্গে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সম্পর্ক ছিল সেটা জানতেন বাবুসোনা। এনিয়ে আগেও দু’জনের বচসা হয়েছিল। বিশ্বজিৎকে মেলামেশা করতে বারণও করেছিলেন।
ঘটনার দিন বাবুসোনা বাড়িতে ঢুকতেই মিনতিদেবীর ‘প্রেমিক’ বিশ্বজিৎ তাঁকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। বাবুসোনাকে আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বাবুসোনার শাশুড়ি। তদন্তে নেমে পুলিশ বারবার জেরা করলেও তিনি কিছু স্বীকার করতে চাননি। গত ১৫ মে মিনতি দাস ও তাঁর স্বামী ভুবন দাসকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। কানাইপুর ফাঁড়ির আধিকারিক অনুপ মণ্ডল তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও টানা পুলিশি জেরাতে ভেঙে পড়েন মিনতিদেবী।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে ২১ মে কোন্নগর আর্দশ নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্বজিৎ আদতে মুর্শিদাবাদ রেজিনগর থানা এলাকার কাশিপুরের বাসিন্দার। কোন্নগর আদর্শ নগরে ঘরভাড়া নিয়ে থাকত। মাংসের দোকানে কাজ করত। পুলিশি জেরায় বিশ্বজিৎ স্বীকার করে গত তিনবছর ধরে মিনতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। মিনতি পরিচারিকার কাজ করতেন। কাজে যাওয়ার নাম করে বিশ্বজিতের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। পুলিশ তাকে সাতদিনের হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.