ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাবার মৃত্যুর মাত্র একমাস চারদিনের মাথায় শিক্ষিকা মায়ের দেহ উদ্ধার। বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার শিক্ষিকার দেহ। ভোরে ঝগড়াঝাটির পর বেলায় বাড়ি থেকে শিক্ষিকা মায়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার এই ঘটনায় মহিলার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। কী কারণে মাকে খুন করতে পারে ছেলে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্কুল শিক্ষিকা মিষ্টি মুখোপাধ্যায় এবং জয়ন্ত চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ির কোতয়ালির বাবুপাড়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁদের একমাত্র ছেলে পাভেল। গত ২২ জানুয়ারি মৃত্যু হয় জয়ন্তবাবুর। তারপর থেকে ওই বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মিষ্টি। রবিবার ভোরবেলা ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর ছেলের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এরপর সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেলেও শিক্ষিকা কিংবা তাঁর ছেলে কারও দেখাই পাননি প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় দরজা ধাক্কা দেন। কেউ দরজা খোলেননি। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে। বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী বাধ্য হয়ে তাঁর ঘরের দরজা ভাঙেন। ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ। তাঁরা দেখেন, একটি জানলার সঙ্গে গলায় দড়ি ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন শিক্ষিকা।
তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পাওয়ার পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি পুলিশকর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। নিহতের প্রতিবেশীদের দাবি, ওই শিক্ষিকাকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে পাভেল। এই অভিযোগে পুলিশ পাভেলকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাবার মৃত্যুর মাত্র একমাস চারদিনের মাথায় কেন মায়ের সঙ্গে ভোরবেলা ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল পাভেলের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.