ছবি: প্রতীকী
রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: বৃদ্ধা মা শুধু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতেন। তার উপর ভাত রেঁধে দিতে বললে তাও করেননি। সেই রাগে ষাটোর্ধ্ব মাকে গলা টিপে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ‘গুণধর’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাড় হিম করা এই ঘটনা কোনও অজ পাড়া গাঁয়ে ঘটেনি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই চাঞ্চল্য কর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মীরা বিশ্বাস একমাত্র ছেলে ২৯ বছরের গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের সাথে থাকতেন। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর বাড়ি ফেরে মদ্যপ গৌরাঙ্গ। সেসময় ভাত চাইলে ভাত দেননি মীরা দেবী। পরে গৌরাঙ্গ ভাতের হাঁড়িতে দেখে, হাঁড়ি শূন্য, ভাত রাঁধা নেই। অভিযোগ, তখনই রক্তচক্ষু ছেলে প্রথমে মাকে মারতে শুরু করে। পরে গলা টিপে মাকে খুন (Killing)করে ছেলে।
পরদিন সকালে বৃদ্ধা মীরা বিশ্বাসের কোনও সাড়া না পেয়ে খোঁজ করলে দেখা যায়, বিছানায় লুটিয়ে রয়েছে বৃদ্ধা। পুলিশে খবর দিলে আলিপুরদুয়ার পুলিশ বৃদ্ধা মীরা বিশ্বাসের মৃতদেহ (deadbody)উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সকালে বাড়িতেই ছিলেন গৌরাঙ্গ বিশ্বাস। বাড়ি থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ারের শিমলাবাড়ি থেকে বৃদ্ধার মেয়ে গোপা বিশ্বাস ছুটে এসেছেন। তিনিই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। গোপা বিশ্বাস বলেন, “ভাই মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। ভাইয়ের কড়া শাস্তি চাই। মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় মাকে মারধর করত ভাই। মাকে খাওয়ালেও ও মাকে খুব অত্যাচার করত।”
এই ঘটনায় কলেজপাড়াতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি (IC) অনিন্দ্য ভট্টাচার্য্য বলেন, “আমরা খুনি ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” এদিন পুলিশ গ্রেপ্তার ছেলেকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তুললে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন কোর্ট লক আপে তোলার সময় গুণধর ছেলে গৌরাঙ্গ বলেন, “আমি ১০ দিন ঘুমোইনি। সেই কারণে মাথা গরম ছিল। একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি এর বেশি কিছু এখন বলতে পারব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.