সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শুধু মাস্ক নয়, করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ব্লক প্রশাসনের উদ্যেগে এবার ‘ফেস শিল্ড’ তৈরি করছে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাড্ডি সংগ্রাম মহিলা স্বনির্ভর সংঘ, প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি সম্প্রতি এই ‘ফেস শিল্ড’ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে যা রাজ্যে প্রথম বলেই দাবি করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এই সংঘের ‘ফেস শিল্ড’ ইতিমধ্যেই বাজারে এসেছে। দাম রাখা হয়েছে মাত্র ২০ টাকা। তবে এই ‘ফেস শিল্ড’ প্রাথমিকভাবে জেলার প্রশাসনিক স্তরেই দেওয়া হচ্ছে। আশা কর্মী, এএনএম, সিভিক ভলান্টিয়র, ভিলেজ পুলিশ, সাধারণ পুলিশ কর্মী, ব্যাংক কর্মী, প্রশাসনিক কর্মী-আধিকারিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও রেশন ডিলারদের এই ‘ফেস শিল্ড’ দিচ্ছে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
সাঁতুড়ির বিডিও পীযূষ ভাগওয়ানরাও সালুনখে বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের নিয়ে তৈরি ওই সংঘকে আমরা ‘ফেস শিল্ড’ও মাস্ক তৈরি করতে নানারকম ভাবে সাহায্য করছি। তবে এর মুনাফা ওই সংঘের কাছেই যাবে।” এই জেলায় একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করছে মাস্ক, বানাচ্ছে স্যানিটাইজারও। তবে সংগ্রাম মহিলা সংঘের হাতে তৈরি ‘ফেস শিল্ড’ সাড়া ফেলেছে জেলার প্রশাসনিক মহলে। জানা গিয়েছে, এই ‘ফেস শিল্ডে’ থাকা হেড ব্যান্ড স্পঞ্জ দিয়ে তৈরি।
লকডাউনের আগে থেকে মাস্ক তৈরি হলেও ‘ফেস শিল্ড’-এর কাজ সবে শুরু করেছেন ওই গোষ্ঠীর সংঘের মহিলারা। নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রেখে ফি দিন ৫০টি করে এই ফেস শিল্ড তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ২০০ টি। তবে মাস্ক তৈরি হয়েছে পাঁচ হাজার। ফি দিন মাস্ক তৈরিতে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০। মাস্কের দাম রাখা হয়েছে পনেরো টাকা। তবে এই ‘ফেস শিল্ড’ অনেক বেশি সুরক্ষিত। মাস্ক বেঁধে এই ‘ফেস শিল্ড’ লাগিয়ে কাজ করা অনেকটাই নিরাপদ, বলছেন চিকিৎসকরা।
ছবি: সুনীতা সিং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.