সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: লুটপাটের পর বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আঁধারমানিকের কলমিখালিতে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার অভিযোগ মানতে নারাজ। বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ‘সাজানো’ বলে পালটা অভিযোগ করে পুরো ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করল ঘাসফুল শিবির।
কলমিখালির ২২২ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি যদুনাথ মণ্ডল স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর মেয়ে পাপড়ি ও জামাই সুদীপ নস্কর সেসময় বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই একদল তৃণমূল সমর্থক গ্রাম সংসদের সভা সেরে ফেরার পথে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। বিজেপি সভাপতির মেয়ে-জামাইয়ের আরও অভিযোগ, তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের পর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরও করা হয়। যদুনাথের ছেলে রাজীব মণ্ডলের অভিযোগ, দু’টি মোটরবাইক, টিভি ও ফ্রিজ ভাঙচুর করে ওই দলটি। ঘরের জানলা-দরজাও ভাঙচুর করে তারা। ঘরের মধ্যে লুটপাট চালানো হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। যদুনাথ অবিলম্বে বিজেপি না ছাড়লে ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। শুক্রবার বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পশ্চিম ভাগের বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, রাতে গ্রাম সংসদের সভা সেরে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীরাই বিজেপি সভাপতির বাড়ি আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, “তৃণমূল যদি মনে করে থাকে এভাবে সন্ত্রাস করে বিজেপিকে রুখে দেবে তাহলে ভুল বুঝেছে। এভাবে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়।” অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল অবশ্য এই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূলের গ্রাম সংসদের একটি সভা চলছিল। তখনই সেই সভায় উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্য করে যদুনাথ গালিগালাজ শুরু করে। উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তার প্রতিবাদ করে।” বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা বিজেপির সাজানো বলেও তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.