দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জামিন হয়ে গিয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে সাতদিন। তবে তা সত্ত্বেও সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পায়নি তেলিনিপাড়া (Telinipara) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দি মহম্মদ জালালউদ্দিন ও ইমরান জালাল। সংশোধনাগর কর্তৃপক্ষের আচরণের প্রতিবাদে হুগলি সংশোধনাগারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল তাদের পরিজনেরা।
ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় মে মাসে গ্রেপ্তার হয় মহম্মদ জালালউদ্দিন ও ইমরান জালাল। সংশোধনাগারে থাকাকাকালীনই চুঁচুড়া আদালতে বিচার চলছিল। ১১ জুন চুঁচুড়া আদালত দু’জনেরই জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু জামিন মঞ্জুরের পর সাত দিন কেটে গেলেও তারা হুগলি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পায়নি। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দুই পরিবারের লোকজন। মহম্মদ ও ইমরানের মুক্তির দাবিতে সংশোধনাগারের সামনে অবস্থানে বসেন তাদের পরিজনেরা। দুই পরিবারই দাবি করেছেন, সংশোধনাগারকে বহুবার জানানোর পরও মুক্তি মেলেনি। এমনকি ইমরান ও মহম্মদকে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। দুই পরিবারই দাবি করেছেন জামিন পাওয়ার পরও তাদের কী কারণে সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে তা তাদের জানানো হোক। বাড়ির লোক আশঙ্কা করছেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে যা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাদের জানাচ্ছেন না।
এদিকে হুগলি সংশোধনাগারে এরকম আরও বেশ কয়েক জনের জামিন হওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি। সেই বন্দিদের পরিবারও তাঁদের সঙ্গে এই অবস্থানে শামিল হন। চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবী মলয় মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন জামিন হওয়ার পর একদিন বা পরেরদিন সংশোধনাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে এই লোকগুলোর কি হল তা অবিলম্বে জানানো হোক। আদৌ তারা বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মলয়বাবু। এদিন এই দুই পরিবারের সঙ্গে আইনজীবী মলয় মজুমদারকেও অবস্থানে শামিল হতে দেখা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.