সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সদ্যোজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল ক্যানিংয়ের বেসরকারি হাসপাতাল চত্বর। অভিযোগ, নিহত ওই সদ্যোজাতর পরিবার বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় নার্সিংহোমের মালিক, চিকিৎসক এবং কর্মীদেরও। এই ঘটনায় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশুন হাইস্কুল পাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণা হালদার। গত রবিবার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। ওই মহিলাকে ক্যানিং বাজারের পেট্রল পাম্প এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। তবে নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, শিশুর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাই তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে। সেই অনুযায়ী সদ্যোজাতকে কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। তবে সোমবার কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর।
এরপর মঙ্গলবার রাতে ক্যানিংয়ের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি থাকা কৃষ্ণাকে দেখতে আসেন তাঁর পরিজনেরা। ওই নার্সিংহোমের ভিতরে ঢুকে চিৎকার করতে থাকেন সদ্যোজাতের পরিবারের লোকজন। বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর করতে থাকে তারা। এমনকী নার্সিংহোমের চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মীদেরও মারধর করতে থাকেন। চিকিৎসকের গাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন নার্সিংহোমের মালিক প্রদীপ নাথ। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর জোর করে প্রসূতিকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে যায় ভাঙচুরকারীরা। নার্সিংহোমের মালিক প্রদীপ নাথের দাবি, অকারণেই ভাঙচুর এবং প্রত্যেককে হেনস্তা করেছে ওই প্রসূতির পরিজনেরা। এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মানস হালদার, বিজন হালদার, সানি পাল, তপন জানা ও লতিফ মোল্লা নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.