Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গিয়ে ধুন্ধুমার, উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার পুলিশ

বারাকপুর রাসমণি শ্মশানঘাটের ঘটনা।

Some people attack police in Barrackpore
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 30, 2020 11:26 pm
  • Updated:April 30, 2020 11:26 pm  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: এক করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার গভীর রাতে বারাকপুর রাসমণি শ্মশানঘাটে জনরোষের মুখে পড়ে মৃতদেহ নিয়ে ফিরতে হলো পুলিশকে। ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন করোনা আক্রান্তের দেহ আনা হলো, সে প্রশ্ন তুলে শশ্মানঘাটের সমানে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। চাপে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এদিন রাত দেড়টা নাগাদ দেহটি বারাকপুরের রাসমণিঘাটে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হয়। গাড়ির চালক-সহ অনন্য কর্মীরা পিপিই পরে থাকায় দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। শ্মশান লাগোয়া বাড়িগুলি থেকে একে একে বেড়িয়ে আসেন মানুষ। গাড়ি থেকে দেহ নামানোর আগেই বাধা দেন তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশ গভীর রাতে দেহ নিয়ে আসছে। সে সময় শ্মশানঘাটের আশেপাশে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার রাতে দেহ আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার কোভিড হাসপাতালে কারও মৃত্যু হলে, জেলারই কোনও শশ্মানঘাটে সৎকার করা হচ্ছে। যে দেহটি বারাকপুর রাসমণিগঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটি হাবড়ার এক প্রৌঢ়ের। বারাসত কদম্বগাছির কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার থাবা, আক্রান্ত ২ সাফাইকর্মী]

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন, বিক্ষোভের কারণে দেহ অন্য জায়গায় নিয়ে দাহ করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রমেশ সাউ বলেন, “প্রশাসনের নির্দেশে ওই শ্মশানে দেহটি সৎকার করতে না হয়েছিল। এলাকার মানুষ বাধা দেওয়ায় দেহ নিয়ে চলে যায় পুলিশ। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ বলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। এদিন রাতের ঘটনার ভিডিও টুইট করে রাজনৈতিক মোড় দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। টুইটে বলা হয়, “লুকিয়ে করোনা রোগীর দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।” এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বিজেপি এসব যত করছে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মানুষকে খাবার দিতে পারছে না। অর্জুন সিং, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা সবাই নোংরামি করে বেড়াচ্ছে। এসবে পরোয়া করি না এই অসভ্য লোকেদের প্ররোচনায় আমরা পা দেব না।”

[আরও পড়ুন: খড়গপুরে করোনা পজিটিভ আরও এক আরপিএফ জওয়ান, বাড়ছে উদ্বেগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement