Advertisement
Advertisement
Cheat Kolaghat

ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে চাকরির টোপ, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার তদন্তে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব প্রতারিতরা।

Some people allegedly cheated by an unknown company in Kolaghat ।Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 23, 2020 2:41 pm
  • Updated:September 23, 2020 2:41 pm  

সৈকত মাইতি, তমলুক: ভুয়ো ওয়েবসাইট (Website) খুলে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল কোলাঘাটে। ঘটনা তদন্তে নেমেছে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন।

১৫ সেপ্টেম্বর একটি বহুল প্রচলিত বাংলা সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চেয়ে পাঠায় কোলাঘাটের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোলাঘাট (Kolaghat) নবোদয় পাবলিক স্কুল (মাধ্যমিক) নামে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন জমার ফি হিসাবে ৫০১ টাকা করে চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে টিচিং ও নন টিচিং এই নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন পরিকাঠামো পরিষ্কারভাবে জানানো হয়। মোট ২৮ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন বলেও জানানো হয়।  দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ রাজ্য থেকে বহু বেকার যুবক-যুবতী এই চাকরির আবেদন করেন।

Advertisement

কিন্তু অনলাইনে আবেদনের ফি জমা দিতে গিয়ে আবেদনকারীদের সন্দেহ দানা বাঁধে। অভিযোগ, অনলাইন প্রক্রিয়ায় আবেদনের ফি জমা দিলেও সংস্থার তরফে মেলেনি রিসিভ কপি। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য করা হলেও, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে আচমকাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ আরও তীব্র হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

[আরও পড়ুন: বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্কে ৯ দিনের শাবককে মেরে খেল মা চিতা! কর্তৃপক্ষের দাবিতে শোরগোল]

পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “আমি আমার বোনের জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ করেছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি পুরোটাই জালিয়াতি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” এদিকে, একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা সন্দীপ জানা, ডায়মন্ড হারবারের মনীষা মাইতি-সহ আরও বেশ কয়েকজন। এমন অভিযোগ পেয়ে বেশ কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন। এ বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পুরোটাই ভুয়ো। পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘আমার ছেলে আল কায়দা হলে শাস্তি হোক’, সাফ কথা ডোমকল থেকে ধৃত আল মামুনের বাবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement