সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি রয়েছে লকডাউন। বন্ধ দোকানপাট। তবে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সেই আওতাভুক্ত নয়। তাই বেকারিগুলিতে কম সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে চলছে উৎপাদন। দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের এক বেকারিও তার ব্যতিক্রম নয়। অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মূলত ওই বেকারির কর্মীরা বীরভূম, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কিন্তু এখানেই সমস্যা। ভিনজেলার শ্রমিক নিয়ে কাজের ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে বলেই দাবি স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর দাবি, শনিবার রাত থেকে ভিন জেলার লোক নিয়ে এসে বেকারি কর্তৃপক্ষ কাজ করাচ্ছে। মানা হচ্ছে না লকডাউনের বিধি। ওই শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে নানা অছিলায় অযথা বাইরে বেরোচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এভাবে চললে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে, এ চিন্তায় স্থানীয়রা।
তারই প্রতিবাদে রবিবার সকালে ওই বেকারির সামনে জড়ো হন স্থানীয়রা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, বিক্ষোভ দেখানোর সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি এলাকাবাসী। এদিকে, বিক্ষোভের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতাও পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভস্থলে পৌঁছন দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর ব্যুরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই সময়ে কীভাবে ওই শ্রমিকরা এল তা পুলিশের দেখা উচিত। বাইরের জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বেকারি কর্তৃপক্ষকে।”
দুর্গাপুর স্টেশন বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেকারি কর্তৃপক্ষকে তারা যা বলার বলে দিয়েছে। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ আর তৈরি হতে দেবে না তারা। বেকারির বাইরে বের করে আনা হয় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ওই শ্রমিকদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও পাঠানো হয়। যদিও বেকারি কর্তৃপক্ষ এই বিক্ষোভের বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.