Advertisement
Advertisement
কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল

করোনা রুখতে মিলছে না পিপিই, অমিল ছুটিও, নার্সদের বিক্ষোভে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ধুন্ধুমার

ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেন হাসপাতাল সুপার।

Some nurse stage protest in front of Krishnanagar District Hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 19, 2020 9:46 pm
  • Updated:June 19, 2020 9:46 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: কোভিড (Covid-19) হাসপাতালে ডিউটি করতে তারা রাজি আছেন ঠিকই। অন্যান্য হাসপাতালের নার্সদের মতো তাঁদেরও সাতদিন ডিউটি করার পর এক সপ্তাহ ছুটি দিতে হবে। শুধু তাই নয়, কোভিড হাসপাতাল থেকে ডিউটি করে আসার পর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা  করতে হবে, এমনই একাধিক দাবি তুলে শুক্রবার সন্ধ্যায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন কর্তব্যরত নার্সরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই হাসপাতালে নার্সরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে ডিউটি করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, যেমন পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি তাদের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যান্য হাসপাতালে সাতদিন ডিউটি করার পর অন্তত এক সপ্তাহের ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড হাসপাতালে ডিউটি করার পর তাঁদের নিজেদের পরিবারের কাছে যাওয়া কিছুটা বিপদজনক।

Advertisement

তাঁদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরা পজিটিভ না নেগেটিভ, সেটা জানা প্রয়োজন। অন্যান্য হাসপাতালের নিয়ম মতো তাঁদেরও ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের ছুটি ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। উলটে তাদের একদিকে যেমন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড, সাধারণ ওয়ার্ড সামাল দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের আবার কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতালেও ডিউটি দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ছুটি এবং নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে বলেই দাবি তাঁদের।

[আরও পড়ুন: নদিয়ার লটারি বিক্রেতা খুনে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতী যোগ, মৃতের স্ত্রীর বয়ানে ঘনীভূত রহস্য]

এর আগেও ওই হাসপাতালে নার্সরা একবার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তখন সামাল দিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। শুক্রবার সন্ধে নার্সদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন ওই হাসপাতালের সুপার। যদিও বিক্ষোভের ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন চিত্র সাংবাদিককে নিগ্রহ করা হয়। অভিযোগ, সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে চিত্র সাংবাদিকদের ছবি মুছে দেওয়ার চাপ দেন। যদিও হাসপাতাল সুপারের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  

[আরও পড়ুন: আনলক ওয়ানেই খুলছে ঘোজাডাঙা সীমান্ত, সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে বাণিজ্য শুরুর সিদ্ধান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement