সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বছরের প্রথম দিন বলে কথা। তাই আজ আর কোনও বাঁধাধরা রুটিন নয়। পরিবর্তে কাজের ব্যস্ততা ভুলে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মাখতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন অধিকাংশ মানুষ। পিকনিক স্পটে হুজুগেদের ভিড়। আর পাঁচজন যখন পিকনিকে ব্যস্ত তখন হনুমানের দলই বা বাদ যায় কেন? তাদের কাছেও তো এটা নতুন বছরের শুরু। তাই পিকনিকের আনন্দে গা ভাসাল শাখামৃগের দলও।
বর্ধমানের লাকুড্ডি জলকল মাঠে বহু মানুষই পিকনিক করতে ভিড় জমান। বছরের প্রথম দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আট থেকে আশি বহু মানুষই এদিন লাকুড্ডি জলকল মাঠে পিকনিক করতে যান। তখন পিকনিক প্রায় জমে উঠেছে। কেউ হালকা রোদে পিঠ দিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন। আবার কারও হাতে ব্যান্ডমিন্টন। খেলাধূলা করছেন। আবার কোথাও সাউন্ড বক্সে বাজছে গান। কোমর দোলাতেও দেখা গেল বহু মানুষকে। আর বাঙালি পিকনিক করবে অথচ সেখানে খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজন থাকবেন না তা হতেই পারেনা। তাই তো ভাল ভাল খাবারের গন্ধে মাত হয়ে যায় লাকুড্ডি জলকল মাঠ।
ঠিক এমন সময়েই লাকুড্ডি জলকল মাঠে হাজির একদল শাখামৃগ।
হুজুগে বাঙালির মতো তারাও তখন নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে উপভোগ করতে ব্যস্ত। কেউ একটু বেশিই চঞ্চল। তাই সে একের পর এক গাছে লাফালাফিতে ব্যস্ত। আবার কেউ সংযমী। তারাও আর পাঁচজনের মতো শীতের রোদ গায়ে মাখতে ব্যস্ত। কেউ আবার পেটুক। চতুর্দিকে ঘুরে ফিরে তার শুধু খাবারের দিকে নজর।
তবে খাবার শাখামৃগদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে কার্পণ্য করলেন না কেউই। পরিবর্তে ফলমূল থেকে খাবারদাবার সবই হনুমানের মুখের কাছে পৌঁছে দিলেন পিকনিকের আনন্দে গা ভাসানো প্রায় প্রত্যেকেই।
সকলের সঙ্গে মিশে দিব্যি পেটপুজো সারে হনুমানের দল। বিকেলের পর বেশিরভাগ মানুষই পিকনিক স্পট ছেড়ে বাড়ি চলে যান। সেই সময় আর পাঁচজনের মতো পিকনিক স্পট ছাড়ে শাখামৃগের দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.